আমার বাড়ির পাশে আছে এক বিরাট শিমুল তলা
পয়লা বৈশাখ সেই খানেতেই বসে যে মিলন মেলা,
দূর-দূরান্তের মানুষ আসার যায় পড়ে যায় ধুম
এই সব দেখে মানুষের চোখে থাকেনা যে আর ঘুম।
হরেক রকম সওদা লয়ে বসে কত হরেক দোকানী
ছেলে মেয়েদের একেক বায়না এইটা ঐটা কিনি,
ছোট কিবা বড় সবার সেদিন একই পথের চলা
সবার মুখেই একই শ্লোগান যাইরে শিমুল তলা।
দেখি কেউ নাকি তায় সাধু বাবা কেউ'বা আবার ওলি
কাহার মধ্যে আছে কিবা তার আমিই কেমনে বলি,
কারো কারো মুখে পায় শোভা বেশ অনেক লম্বা দাড়ি
কেউবা আবার লম্বা চুলের জটলার অধিকারী।
মাঝে মধ্যেই একটা দুটো-ও ন্যাংটা পাগল মেলে
সবার হাতের খায় না তো তারা হাজার কিছু-ও পেলে,
সারা দিন যায় কোন সে খেয়ালে ক্ষুধার বালাই নাই
যেনো ক্ষুধাজয়ী মানুষ তারাই ভাতের জরুর নাই।
রাত্রি যখন হয়'গো গভীর চোখেতে তন্দ্রা আসে,
প্রভুর নামের মধুর যিকির আকাশে বাতাসে ভাসে।
গাছটির এক ডালে নাড়া দিলে সর্ব ডালই নড়ে
হাজার অধিক আয়ুষ্কাল যে শ্রুত সবারই স্বরে।
যাহা কিছু আছে নিখাদ সবই নাই কোন ছলাকলা
দেখবি যদিই আয়রে সবাই আয়রে শিমুল তলা,
শেরপুর জেলা নকলা থানার গ্রাম নারায়ন খোলা-
সেইখানেতে আছে রে ভাই ঐতিহাসিক শিমুলতলা,
পিয়ারপুরের উত্তরে তে ব্রহ্মপুত্র নদ বয়,
সেই নদেরই উত্তর পাশে গাছটি দাঁড়িয়ে রয়।