বেদনার গান গাইতে আসিনি বন্ধু
তোমাদের এই মধুমাখা প্রণয় জলসায়
তবুও ডুকরে কেঁদে উঠে কতক কষ্ট বোধের স্রোত
আছড়ে আছড়ে ভাসায় হৃদ দরিয়ার কানায় কানায়
হাসি আনন্দের দোলাচলে কে'বা কতো দুঃখ লুকায়


আজও খুব মনে পড়ে বন্ধু
শৈশবের শালুক তোলার সাথি অথবা
একই বেঞ্চে ল্যাপ্টে বসে থাকা আর খুনসুটি
কানামাছি বউচি আর ডাঙ্গগুলি খেলার দিনগুলি
হায় নিয়তি ওদের অনেকেই এখন ভালো নেই আর
কেউ দিনাতিপাত করছে বহু কষ্টসাধ্যে শ্রমে ঘর্মে
কেউ দৈন্যতার করালগ্রাসে নিয়ত জীবন বিতৃষ্ণায়


কতো বন্ধুর
কৈশোরেই থেমে গেলো কোলাহল
থেমে গেলো হায় জীবনের লেনদেন
কালের অমোঘ আহ্বানে হারিয়ে গেলো অজানায়
প্রিয় ফুটবল খেলার সাথি চরমধুয়ার হাফিজুল
মাঠ জুড়ে সেই গুটিগুটি পায়ে দৌড়ে ছুটে চলা
দ্যাখিনা'তো আর কোনদিন


এইতো সেদিন
রাস্তার মোড়ে থমকে দাঁড়াই
হিম হয়ে আসে পদযুগল,এগোতেই পারছিনা আর
অবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখলাম আরো একটি প্যানা
ধরণীর বটবৃক্ষ হতে খসে গেলো আরো একটি পাতা
প্রিয় শিহাব আমাদের থেকে নিভৃতে নিয়েছে বিদায়


এমনি ভাবেই কে যে কখন
হারিয়ে যাবো সেই অসীমের অতল গহীনে
বিধাতার অমোঘ আহ্বানে দিতে হবে সারা
চিরদিনের মতো সকল কর্ম ব্যস্ততার হবে অবসান
এ মিলন-মেলা হয়তো কারো জীবনে আসবে ফিরে
আবার আমাদেরই কারো হয়তো আসা হবেনা ফের


তবুও বাঁধি ঘর
নিরাশার বুকে আশার বাসা এসো বাঁধি
আপনার চেয়ে চলো অন্যের দুখে কাঁদি
আমার পরানে বাঁধি বাসা বন্ধু তোমাদের তরে
সকলে যেন থাকি ভালো প্রার্থনা সর্বদাই একেশ্বরে


♥♠♥♠♥♠♥♠♥♠♥♠♥♠♥♠♥


উৎসর্গঃ- শেরপুর জেলার " ১৯৯৪" ব্যাচের শিক্ষার্থী বন্ধুদের মহা মিলন মেলায় উপস্থিত অনুপস্থিত সকল বন্ধু বান্ধবীদের উদ্দেশ্যে সামান্যতম অর্ঘ্য।