তোমার পদ-চিহ্ন পড়বেনা জানি আমার লীলাকাননে
কুঞ্জবনের নিকুঞ্জ আজিও রয়ে গেল অসার শূন্যে,
সজনী আমার আসিবে আবার বাসনা জাগে মনে
তপ্তমরুর তৃষিত কামনা জুড়াবে শীতল আলিঙ্গনে।
ধরিত্রী যাচে পূর্ণ শশীরে ঢালো উজার করা জোছনা,
গহন রাতে উৎকণ্ঠ বসুমতী নহে নহে আর ছলনা।


হৃদয়ের ক্ষত মর্মে বাজে সে যে কি বিষম যাতনা
কত নিশি প্রভাতে হারালো তুমি ফিরে এলেনা।


আলো-আঁধারির বুকে ভাসে মায়াবতীর এলোকেশ,
হতাশার বুকে সঞ্চিত ব্যথায় জাগালে নব আবেশ।
গহীন আঁধার নিস্তব্দ রজনী তন্দ্রা নামে চোখে,
চুপিসারে নিঃশব্দে কে যেন তাকালে অনিমিখে।
উন্মাদ হাওয়ায় কোন বিরহিনীর ক্রন্দন কর্ণে বাজে,
অবশেষে দুখিনী প্রিয়া এলো বুঝি নব বঁধুর সাজে।
ভ্রম কাটিয়া যবে সম্বিত ফিরে তাকায়ে চারিদিক
আনমনে কবি রচিল ভাবনা তাহার আকস্মিক l


হৃদয়ের ক্ষত মর্মে বাজে সে যে কি বিষম যাতনা
কত নিশি প্রভাতে হারালো তুমি ফিরে এলেনা।