ক্ষয়ে যাচ্ছে সভ্যতা, সামাজিক বন্ধন
ঢলে ধ্বসে পড়া পাহাড়ের মত;
আর ক্ষুধার্ত ভাল্লুকের মত হিংস্র মোদের চোখে
মানুষের তাজা রক্ত পানের লোলুপ দৃষ্টি।
ভুলে গেছি সবুজ পাতায় লেখা
জীবন চলার ব্যাকরণ;
সকালের সূর্যকে ঝাঁটা মেরে করি বিচূর্ণ
বড্ড খরা এই হৃদয় পটে।
জানিনা কে জন্ম দিয়েছে আমায়
কোথায়, কোন্ মাটিতে আমার নাড়ী পোতা?
অন্ধকারে যে আমার ধরেছে হাত
দিয়েছে জীবনের ঝাঁঝালো স্বাদ;
তার পায়ে মাথা ঠুকি
তার নিবাস আমার উপাসনালয়।
এই আছি বেশ
নষ্ট সমাজের নষ্ট চরিত্রে আমি।
এখন ক্ষুধা পেলে মাটিতে গড়াগড়ি যাইনা
টেনে ধরিনা মায়ের কাপড়ের আচল;
আমার বোনের পথ আগলে দাঁড়ায় না
পাড়ার মোড়ের বখাটের দল।
আমার বাবাকে এখন লোকে
দূর থেকে সালাম ঠুকে,
পেছনে গালি দিলে কি যায় আসে
মালা পড়া নেতাও কাপে মোর ত্রাসে।
অবশ্য আমার এখন অসংখ্য বাবা
আর অসংখ্য সন্তানের বাবা আমি;
খোন্তা,হাতুড়ি নিয়ে প্রতিদিন চালাই
উৎপাটন আর ধ্বংসের অভিযান।
এই আমাদের চোখেই চোখ পড়েছিল
দূরদর্শী কবি হুমায়ূন আজাদের;
যাদের হাতে ধ্বংস হবে
সমাজ,সভ্যতা, রাষ্ট্রের।