অভিমান, অভিযোগ, অনুযোগ
তিন প্রহরের তিন প্রজাপতির
তিন রকম ওড়াওড়ি


অভিমান আসে অবুঝ হয়ে
বুঝে দিয়ে চেতনাকে
বিষন্নতায় জড়াজড়ি
অমলিন হয়ে পড়া স্মৃতির ধূলোয়
পাতায় পাতায় চলটা ওঠা দাগের
পাশাপাশি অভিমান আসে
অভাব বোধ অথবা নষ্ট সময় আগের


অভিযোগ নয় তা যা নতুন সময়
সবই আসে পুরনোর যা নতুন নয়
বয়ে চলা বৃষ্টির ফোঁটা এক বা দুই
হাজার বছর শুধু একঘেয়ে ক্ষয়


ঝরে পড়া পাতা যেন আরো ঝরে যায়
ঝিরঝিরে বাতাসে ছায়া ছায়া মেঘ
দূরে দূরে আরো দূরে সরে যাও সরে যাও
অভিযোগ নয় তা এতো অসময়


কাতর চোখের যে চাহনি, কাজল মাখা
পাতা ভাসা জল পুকুরে, কি গভীরতা
অবিরাম, অঝোরে বয়ে যাওয়া ঢল
ভরে উঠে, ডুবো ডুবো শাখা প্রশাখা


পর্দার আড়ালে কোন কাল ছায়া
সজীবতা ছুঁয়ে কি বলে সে ইশারা
কালি ঘোলা অন্ধকারের গলি কানা পথে
সহস্র বাধা থাকে নয়ত পাহারা


তবু যে দিন আনে ছায়া কালো পথে
রঙধনু থেকে থেকে তাতেই মেশে
অভিমান, অভিযোগ দুপাশে রেখে
যা কিছু ছুটে আসে তাতো অনুযোগ বটে