০১


রক্ত দাও ঢেলে শরাব পিয়ালায়, তোমার পুণ্য পরশ চাই,
চোখ মুখ অন্ধকারাচ্ছন্ন তবু তোমার দেখা না পাই,
প্রেম পিয়াসুর আত্মগ্লানির ডাক শুনতে কি পাও?
করুণা করে নিয়ে নাও সাথে আধাত্মীকতার গান গাই।


                                    ০২


ছক্কার চালের কড়ির মতো ঘুরছি জগৎ আনন্দ করে,
মনে আছে? যেতে হবে মাটির ভিতর অন্ধকার ঘরে,
মা-বাবা আত্মীয় স্বজন সাথে যাবে না পরিজন,
একা যেতে হবে দরবেশ বাবার পুণ্য ধরে।


                                     ০৩


ওহে সাকি, শরাব পাত্র হাতে লয়ে করো মাতামাতি!
করলি না সাধন-ভোজন রং তামাশায় কাটালে দিবারাতি;
শেষের দিনে যম বাবাজী টানবে যমালয়ে,
সময় থাকতে ভজন করো দরবেশ বাবার হয়ে সাথী।


                                   ০৫


স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে তুমি মানব কে করো শ্রেষ্ঠত্ব,
তত্ত্ব জ্ঞানের অভাব আছে, জীবন যে কলুষিত,
দিনের শেষে খোদার দরবারে, প্রার্থনা করো কায় মনে,
সৃষ্টিকর্তা ধরণীর শ্রেষ্ঠ মানব, মহাগুণে গুণাত্বীত।


                                   ০৬


প্রেমের সুরা পান করিয়া পাই নি দেখা তোমার,
স্বার্থক জীবন তত্ত্ব জ্ঞানে, করতে চাই আমার,
মিছে মায়ার ভবের খেলায়, মেতে আছি সারাক্ষণ!
তোমার গুণের অসীম মায়া, বুক কাঁপে বারবার।


                                  ০৭


সাহিত্য গুরু আশরাফুল আমার, দেখা হয়নি কোনোদিন,
প্রেমের সুরা দিয়েছেন ঢেলে মনে, অনেকেই তাঁরে ভাবে ভিন!
ছন্দের যত আছে কলা-কৌশল শিখিয়েছেন তিনি আমায়;
আজও শরাব পাত্র হাতে আছি পথ চেয়ে তাঁর, প্রতি নিশিদিন৷


                                    ০৮


যিনি বিলিরিকের প্রবর্তক, "ঠাকুর বিশ্বরাজ গোস্বামী" নাম,
তাঁর পদ-যুগলে দিলাম আমার শত কোটি প্রণাম,
বিলিরিকের জয়ধ্বনি চারিদিকে শুনি, হয় মন খুশি;
আমাদের আত্মার সাথে আত্মার সঙ্গম হয়েছে, পুণ্যগোলক-ধাম৷


                                    ০৯


অমৃত পিয়ালা দাও আমায়, পান করে নেই সব,
চরণ তলে ঠেঁকাই মাথা, তত্ব জ্ঞানী আছেন নীরব,
বললেন শেষে জাগ্রত হয়ে অমৃতের জন্য সাধন করো,
নিত্য দিনের দুঃখের জন্য, ব্যথিত হয়ে হও সরব।


                                     ১০


আজি এক দেখিনু স্বপন, কইল মোরে দরবেশ বাবা,
ধেয়ান করো অমৃত পাবার, নইলে আমার পড়বে থাবা,
মদিরা পাওয়ার আশায় আমি, কাটানু বিশ বছর,
পাই নি তবু তোমার দেখা, মিছে স্বপন যায় ভাবা।