চিনতে পারো নি মোরে!
আমি যে বাঙালী সূর্যসন্তান,
কি করে তা ভুলে গেলে!
কি করে ভুললে ৫২-তেও
গুলি খেয়ে মরি নাই,
বুকে গুলি আর মুখে রক্ত
তবু মোরা দমি নাই;
দমে যাই নাই,অধিকারগুলো
অকপটে চেয়ে গেছি,
তোমরা ভেবেছো,” সেদিনের ছেলে,
আজ আমি বদলে গেছি!”
ভাষার স্বপ্ন সত্যি করেছি,
স্বাধীন করেছি দেশ,
আর আজ ভাবছো সেই সে চেতনা
করে দিবে নিঃশ্বেষ!
মাকে ভালবেসে হাসিমুখে আমি
দিয়েছি আমার প্রাণ,
ভেবেছো-“এটাতো আদ্দিকালের কথা,
আজ হয়ে গেছে ম্লান।“
সাধেতো মায়ের গর্বের ছেলে
হয়ে উঠিনি আমি,
কিভাবে আঁধার জয় করে নেব
সে পথটা আমি জানি।
বুক চিড়ে দেখ রক্তের নদী
আজও টগবগ ফোটে
মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেই মোরা
দু'চোখ আকাশে ছোটে।
ছুটে চলি মোরা রক্তে
স্বাধীন দেশের গন্ধ নিয়ে,
কবির লেখনি পড়ে দেখ তুমি,
পড়ে দেখ মন দিয়ে;
তেরো শত নদী আজও জিজ্ঞাসে-
“কোথাকার ছেলে তুমি?”
স্বাধীন পতাকা হাতে নিয়ে বলি,
"বাংলা আমার ভূমি।"
মায়ের আঁচলে যে টান দিয়েছে,
তার হাতই ভেঙে দেই
তবু আজও তুমি চিনতে পারো নি,
সেদিনের আমাকেই।
বুকে ভালবাসা, বিজয়ের নেশা,
ঘামে ছোটে খুন বিন্দু
হাতের মুষ্ঠি চেপে ধরে থাকে
অত্যাচারীর মুণ্ডু।
আজ আমি আবার মাথা উঁচু করে
তোমার সমুখে দাঁড়িয়ে
নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করবো ,
সকল বাঁধন ছাড়িয়ে।
যতদিন রগে বইবে মোদের
বাঙালী মায়ের রক্ত,
ভুলেও ভুলোনা,
আমরা তো এই স্বাধীন দেশেরই ভক্ত।