আমায় নিয়ে চল সেই নদীটির ধারে যেখানে চির বসন্ত বহমান
যেখানে দিন রাত্রি নেই, নেই কোন সময়ের অস্তিত্ব
বহতা নদীর সৌরভে সৌরভে ঘুরে বেড়ায় বাতাস
একূল ওকূল দুকূল ছাপিয়ে ঝরে পড়ে অবিরত বসন্ত, বাসন্তী ফুল
চন্দ্র মল্লিকার হাসিতে রহস্য আর গোলাপের ঝাড়ে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রেম।
সেই সেইখানেই বসে থাকি চল আজন্ম কাল।
পৃথিবীর আর সব পথ মলিন ধুলায় ঢেকে যাক
বয়ে যাক প্রণয়ের বাতাস
সুগভীর দীর্ঘশ্বাসের মত।
বাসন্তী নদীতে দুলে যায় তোমার ছায়া
তোমায় দেখি।
তোমার কপালে উড়ে এসে পড়া এলোমেলো চুল
চোখের নিচে কালি
রাত জাগো বুঝি খুব আজকাল?
বিষণ্ণ সুন্দর হাসি
চোখের তারায় প্রেম নাকি জিজ্ঞাসা?
কি এত দেখছি তোমায়?
তোমার ওই অতটুকু মুখে কি এত দেখবার আছে!
ভাবছো না এত এত দিন পরেও কি দেখি? কি খুঁজি ঐ মুখে?
আকন্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে কি দেখি?
তোমার মাঝে কি এত দেখবার আছে?
আহা! তা যদি জানতে!
শত কোটি বর্ষের খরায় পুড়েছে যে চোখ
প্রখর রৌদ্রে ঝলসানো যে চোখে শুধু কালো অন্ধকার,
এক পশলা বৃষ্টিতে ভিজে গেল যেন চোখের জমিন
কালো আঁধারে জ্বলে উঠল জোনাকী প্রেম।
বসন্ত অরণ্যে বয়ে গেল এলোমেলো ঝড়ো হাওয়া,
টুপটাপ ঝরে পড়া নক্ষত্রের আলোয়
নদী গেয়ে চলে সুপ্রাচীন একটি ভালবাসার গান।
উন্মাতাল জেগে রই সারা রাত
ঐ চোখে
ঐ মুখে
ঐ তো ওখানে
বাসন্তী নদী, তুমি, আমি
আর প্রেম।