জীবন পড়লাম,
উপসংহারে গিয়ে শেষ লাইনটা এমন,
তুমি মানুষকে যা দিবে তা কখনোই আস্ত ফেরত পাবে না।
হয়তো ভাঙন যাবে নয়তো ক্ষয়ে যাওয়া–
হোক সেটা দৃশ্যমান কোন বস্তু কিংবা অদৃশ্যমান মন।

তুমি ভাবো তুমি দিচ্ছো আলো—
অথচ তারা এসে মুঠো ভরে নিয়ে যায় আগুন,
পিছনে ফেলে যায় ছায়া, ধোঁয়া, আর পোড়া দেয়ালের মতো স্মৃতি।
তুমি হয়তো হাত বাড়িয়ে দিলে আশ্রয়ের মতো,
সে হাত ফিরল রক্তাক্ত হয়ে—
ভাঙা বিশ্বাসের কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত।

মানুষ কখনো কখনো হয় নিঃশব্দ বিষ,
তুমি চুমু ভাবো, সে ঢুকে পড়ে রক্তে,
ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে সেই হৃদপিণ্ড,
যেটা তুমি নিজের হাতে তুলে দিয়েছিলে।

তুমি যে ভালোবাসা দাও,
তা কখনো কখনো নিক্ষিপ্ত হয় খাদের দিকে—
না ফিরে আসে, না ধ্বনি তোলে,
শুধু অদৃশ্য এক চিহ্ন হয়ে পড়ে থাকে বুকের নিচে,
ঠিক সেখানে, যেখানে গভীর রাতগুলো নি:শব্দে হাহাকার করে।

ভালোবাসা, দয়া, সময়—
সবই যেন জলের ওপর লেখা প্রতিশ্রুতি,
ঢেউ এসে তা মুছে দেয়,
আর তুমি দাঁড়িয়ে থাকো— ভেজা হাতে, খালি বুক নিয়ে।

তবুও দাও, কারণ ত্যাগই একমাত্র সম্পদ
যা মানুষকে ঈশ্বরের ছায়ায় দাঁড় করায়।
তুমি নিঃস্ব হও, তবু পবিত্র থাকো—
তবু, হে হৃদয়, প্রস্তুত থাকো—
যা দেবে, তা কেবলমাত্র দানের পবিত্রতায় দিও,
ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা যেন না হয় কোনো চোরাগোপ্তা  চাওয়া।
কারণ মানুষ শুধু নেয়—
আর খোদা শুধু দেখে, তুমি কতটা নিঃস্ব হতে পারো প্রেমে।