ঠিক কেমন করে জানি না।
দুপুর রোদে থাবা ছড়ানো বিলাইয়ের মতো
আমার শরীর এলিয়ে পড়ে তোমার কাঁধে।
একটা উর্দু শায়েরি শোনাব তোমাকে।
উচ্চারণটা ঠিক আসছে না।
শরতের নদীর মতো বয়ে চলে আমার কথা।
দুটা দেশ আমরা, আমাদের এত দুঃখ!
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়ে আমাদের আলাপে
দেশ, রাজনীতি, মানুষ, দুঃখ বাদ দিয়ে—
তুমি আমার চোখে কী দেখো এত?
তোমার মুখের বলিরেখা পর্যন্ত গিলে খেয়েছে আমার হিপোক্যাম্পাস
তবুও রোজ তোমায় এমন নতুন লাগে কেন?
কুশিকাটা দিয়ে আমরা স্বপ্ন বুনি,
তালপাতার সেপাই, ধানক্ষেতের ঘাম, আকাশের হুহু —
সব ঠাঁই পায়।
আমি দেখি, পাটাতনের মতো আমার মনে জেগে উঠেছে—
সবুজ ঘাস, নরম হাওয়া, তোমার প্রেম। আর? উন্মাদনা।
আর? আর বোধহয় যত্ন করার ইচ্ছে। খুব ইচ্ছে!
'তোমার শরীর গরম কেন? জ্বর হয়েছে?
আবার ঠান্ডা পানিতে জিভ ছুঁয়েছ?'
নিজের ভাঙ্গা হাত দেখেও যে মেয়ে খিলখিলিয়ে হাসে,
তোমারে জ্বরের ঘোরে, তার চোখ ভিজে যাবে কেন? কেন?
ক্লান্ত শরীর, ঘুমুঘুমু তুমি-আমি, রাত বাড়ছে…
আরেকটু থেকে যাও না
দু-হাত ছড়িয়ে ভালোবাসি
সফেন জীবন, আর কিছুক্ষণ।