বিনিদ্র রাত্রি যাপন করেও
যেমন ছুঁতে পারে না
শরতের মেঘ ঘাসের শিশির,
বাদলের মেঘ বৃষ্টি হয়েও ভরে দেবে না
কোন দিনও জানি আমার ধরনী,
ইচ্ছে হলেই পাষন্তীর পলক
পরবে না এই আমার কুঞ্জে।


ধূসর সন্ধ্যার বুকে মাঝে মাঝে
নিলিমায় হলুদ চন্দ্রিমা জাগে,
হয়তো এখন সেই অপেক্ষা কর না
সেই স্বপ্ন প্রদীপ জ্বালিয়ে।


মাতাল বাতাসের উষ্ণ বেগে
ছুটে চলো তুমি নব পরমিতা অবিসারে,
হয়তো এখন শিশিরে লাগে না তার চুমু।


যৌবনের অমিত বেগে মাটির বুক চিরে
সুপ্ত বীজ তৈরী হয় বটে
সিন্ধুগর্ভে ফুটে কত শত আশ্চর্য কুসুম,
একদিন যৌবনের সব টান পড়ে
নারীত্বের অভ্যাসিক আতুঁর ঘরে।


তবুও কেনো যেন মন চলে যায়
ঐ পাষন্তীর পরে অনন্তহীন পথের ধারে,
রক্তরাঙা ঐ সূর্যাস্তের কাছে সমুদ্রের ধারে,
তবুও  সাদ জাগে একবার সপে দিতে
নিজেকে বেহুলা করে ঐ পাষন্তীরে.........