* আমি শৈশবে বাংলায় তেপান্তরে ছুটিয়াছি
          আঁকাবাকা আউল ধরে
       গম কিংবা সরিষা ক্ষেতের পর,
  অপরূপা শতরূপ সবুজের উপমিত
            এই বাংলার ঘর।
     আমি বৈশাখী ঝড়ে আম্রবনে
পাড়ার ছেলে মেয়েরা মিলে কতজনে,
এদিক ছাড়িয়া ওদিক, পড়ন্ত বৈকালে ঠিক
        গোল্লাছুট খেলায় মাতোয়ারা,
     অতঃপর আম্র বৃক্ষে আম পেরেছি
    ঢিল ছুঁড়েছি চুপিসারে ভয় তাড়া।
আমি বাংলার উজান গাঙ্গের জলে
     ডুবে ডুবে সাঁতার কেটেছি ,
কাশবনের গহীন বিস্তারে
     একলা মমন্বন্তরে হেটেছি
         বর্শাফলার মতো,
আমি হেমন্তে আসা নিঝুম আঁধারে
     জোনাক জ্বলা পুকুর পাড়ে,
    রোজ রোজ থেমেছি অবিরত!
আমি সেই বাংলাকে দেখিয়াছি
    মেঠো পথে গরুর গাড়ির
       ক্রমশই দুই চাকা,
আমি এই বাংলাকে দেখিয়াছি যুগে যুগে
     উন্নয়নের স্থাপত্য ধরে রাখা।
আমি বাংলার বনে নবদিগন্ত
      সন্ন্যাসীর বেশে,
সাধ, নৈরাজ্য মগ্নচৈতন্যে দেখি
     মানবসভ্যতার ভীষণ নিরুদ্দেশে।
আমি বাঙ্গলার রূপে বড্ড পাগল
       ভোরের রক্ত রবি,
আমি ব্যাপক অবসাদে নর - নারীর ফ্যাসাদে
        এই বাঙ্গলার চলমান কবি।
ওগো সোনার বাংলা আমি কি তোমারে
           মরণেও ভুলিতে পারি?
তুমি আমার জন্মভূমি তুমিই আমার বাড়ি।
   ওগো আমার সবুজ ফসলের বাংলা
  আমি কি তোমাকে সহসাই বিড়ম্বনায়
          ভুলে যেতে পারি?
তুমি যে আমার প্রাণের বাংলা
      তুমি সে আমার বাড়ি।