দূর গগনে, শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠেছে      
       চারদিকে মাইকিং হলো শুরু,
  হাট বসিবে হাট বসিবে উল্লেখ্য স্থানে      
       তাতে আসবে বাহারি সজ্জায়
         মহিষ, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া,
         আর ও তেজি তাজা গরু।
তাই চারদিকেতে মাইকিং হলো শুরু।
বিশ্ব নিখিলে মুসলিমজাতি ঐক্য হয়ে
        সাধ্যমত পশু কিনবে সবাই,
আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার আশায় হ্বকমতে
          পশু করিবে জবাই।  
সেদিন ছিল প্রতিপালকের হুকুম
         ইব্রাহিম নবীর প্রতি,
নিজের প্রিয় একটা কিছু দিতেই হবে
   পশু নই কিন্তু তা মানব জাতি।
  বুঝতে বাকি রইলো না উনার
     নিজের ধন মানিক রতন
  ইসমাইলকে দিতে হবে প্রতিদান।
এর আগে ছিলনা মোটেও পশু কোরবান।  
আল্লাহ প্রেমের আশেক তিনি তাই
         পুত্র ধরলেন বাজি,
ঘরের বিবিকে না জানিয়ে ইসমাইলকে          
       জবাই করবেন আজি।
বিবিকে সুধালেন ইব্রাহিম নবী ছেলেকে নিয়ে
    ঘুরিতে  যাবো নিজ হস্তে
       সাজিয়ে দাও গো তারে ,
মনে মনে বলিতো লাগিলো নবী ছেলেকে      
  আর পাবে না তোমার ধারে।
অতঃপর নবী বিসমিল্লা বলিয়া বেড়িয়ে গেলো
      ছেলে ইসমাইলকে লয়ে,
ছেলেকে সময় মত কোরবান করিবে    
         আল্লাহপাকের ভয়ে।
পথের পাশে ইবলিশ শয়তান ইসমাইলকে
      কানে,কানে কুমন্ত্রণায় শুধায়,
কোথায় যাচ্ছো তুমি বাবার সাথে জানো কি    
    তোমারে আজ জবাই করিতে
          হুকুম দিছেন আল্লায়।
এ কথাটা শুনিয়া ছোট্ট ইসমাইল বলিল  
       ভালো কাজে আমি রাজি,
  আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হব আহ্লাদে
       দিব খুশিতে জিবন বাজি।
ইবলিশ শয়তান মনটা ভার করে
      নবীর বিবির কাছে এলো,
তাহার কাছে আল্লাহর সন্তুষ্টির
        একই জবাব পেলো।
যখন মিনার বাজারে জবাই হবে
   সিদ্ধান্তে অটুট নবী,প্রস্তুত আছে
         নিষ্পাপ নবীর ছেলেটা,
তখন আল্লাহ সুধাই ওগো জিবরাইল  
    বেহেশত থেকে দুম্বা খান নিয়ে
মিনার বাজারে যাও হুকুম আমার এটা।
  এই কথা শুনিয়া জিবরাইল দুম্বা হাতে
         মিনার বাজার এলো,
  ইসমাইলের বদলি ছুড়িঘাতে তখন
         পশু কোরবান হলো।
  সেদিন থেকে কিয়ামত অবদি
      একটাই হবে আওয়াজ,
শাওয়ালে মাসের চাঁদ দেখিয়া
       জগতে কোরবানি হবে
এটাই প্রতিপালক,আল্লাহপাকের রেওয়াজ।