*মেধাশূণ্য রুগ্ন জীবনের কাছে ছেয়েছি কি
কিছু ত একটা ছেয়েছি ?
নিশ্চয়,তারকাটার সীমান্ত টপকাতে ছেয়েছি
নির্মম ক্লেদে ভালবাসাটা
পালিয়ে যাচ্ছিলো যখন!
নিশ্চুপ হয়ে না থেকে,নীলিমা ছেয়েছি
বৈশাখী ঝড়ে তাণ্ডব ছিল,আকাশপটে তখন।
কঠিন পাথরে মাথা ঠুকেছি বিষন্নতায়
দেখি কতটা হয় রক্ত ক্ষরণ,
আজ,বিশ্বাসী প্রেম লেলিহান শিখায় জ্বলছে
আমি কতকাল ভূলে চাইবো
অসামন্য ঠাঁই মানবের বক্ষে
প্রশ্নবিদ্ধ বুকের পাজরে মাংসের ঘরে
আসে না কেন মরণ ?
যৌবনের আয়োজন,যা ছিল প্রেমের প্রয়োজন
তা প্রত্যাখান চাইছি আজ,
মুক্তি কি নাই,ভূ-তলের কব্জায়
ঈগলের মত বিশাল ডানার গভীরে
সদা লুকিয়ে রেখেছি লাজ।
দুটি চোখের শুভ্রতা,যৌবন সুচতুরে
ডাকিয়া যাই কালো ছায়া,চুপি চুপি
রাত জাগা সেই ভোরে।
অবরূদ্ধকাল,পূর্ণিমা চাঁদের কিরণে
ভাসে লাল রক্ত,নীল ছবি,
মেধা শূণ্য রুগ্ন জীবনের কাছে হেরেছি
তবে আমি কি মেনে নিবো সহসায়
জগতে,এক উদ্ভাসিত ভিখারি হয়ে আমিই
আজ ভিন্ন অন্ধকারের কবি?