আমার জীবনের প্রথম ছয়টি বসন্তের কথা
আমার মনে নেই,
মনে আছে চৈত্রের দুপুরে,উত্তপ্ত মাটি দিয়ে
আমার জীবনের চৌকাঠে,কড়া নাড়লো কেউ
জীবনের দরজা খুলে ত আমি হতভম্ব
শিউরে ওঠলো শরীর,দাঁড়িয়ে গেলো পশম
কেনো জানো?
আমাকে ভালবেসে জীবন চৌকাঠে সেদিন
অবহেলা এসে হাজির হলো
কিন্তু,সেখানে ত সেদিন আসার কথা ছিল
আমার প্রথম বসন্তের সুখ।
কোকিলের গানে,কৃষ্ণচূড়া ও পলাশের ডাল হয়ে
আমার জীবনে প্রথম আসতে পারতো সেই বসন্ত
তার বিপরীতে আসলো,ভরা ক্লান্ত মন নিয়ে অবহেলা।
যাই হউক,সে যখন আমাকে ভালবেসে এসেছে
আমাকে ও ত অনায়াসে বরণ করতে হবে থাকে?
তাই সবদিক চিন্তা না করে আলিঙ্গন করে নিলাম থাকে!
সেই থেকে কষ্টের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠলো আমার
আর আমি ডুবতে লাগলাম কষ্টের অতল সাগরে।
একটি বছর,দুইটি বছর,এমনি করে সাতাইশ বছর ফেরিয়ে গেলো
আর কষ্টের সাগরে নিহত হলো আমার মন।
এভাবেই কাটলো বহুদিন,
হঠাৎ একদিন,আমার মৃত মনের পূর্ণজন্ম হলো
আর আমার দেহ ফিরে পেলো,প্রথম বসন্তের সুখ।
আহা কত শান্তি এই জীবনের শাখায় শাখায়
নতুন করে পেলাম হারানো যৌবন।
তারপর,হৃদয়ের ডালে ডালে ভালবাসার ফুল
বৃষ্টি হয়ে ঝরলো,
আবারও কোনো নারীর ছায়া আমার হৃদয়ে এসে  
ওঠোন জুড়ে পড়লো।
আর আমি পেলাম শান্তি,আমি পেলাম সুখ
স্রষ্টার প্রেমের প্রশংসা করে করে।
কেননা,
তিনিই দিয়েছেন ফিরিয়ে,আমার নতুন জীবন
আর ঊর্মিলার সেই,ভালবাসার বন্ধন।