তুমি তো আর আমায় ভালবাস না।
তোমার সাথে কাটানো প্রতি মুহূর্ত ছিল এক ছলনা।
কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ আজ আমার কাছে
বড্ড বিবর্ণ।
হয়ত তোমার কাছে, তোমার সাথে নতুন কেউ
কৃষ্ণচূড়ার আগুন উষ্ণতায় রয়েছে।


আজো বসে ভাবি একা
সব ছিল তোমার ছলনা।
হ্যাঁ হয়তোবা।
তাহলে বলনা,
কিভাবে ভালবাসতে হয়।


তোমার ছেলে ভুলানো সেই ছলনা গুলো;
আজো অজান্তে ফোঁটায় হাসি।
একই সাথে কোণ থেকে চোখের
ঝরে পরে স্রোতধারা।
জানো, এই স্রোতধারার ঢেউগুলো
তোমার ছলনার জন্য নয়;
এটা তোমাকে পেয়ে হারানোর কষ্টে রঙিন।


তুমি পেয়েছ তোমার মনের মানুষ;
ইট পাথরের শহরে উচুতলায়
বাস তোমার এখন।
আইফোনের সেলফিতে,
গাড়ির এসির হাওয়ায়,
অর্কিডের মাতাল রঙে-
তোমার কি মনে পরবে;
সেই বৈশাখী মেলার নাগরদোলা।
একসাথে বাদাম খাওয়া।
ঘাসফুলেদের খেলা করা তোমার চুলে।


জানি পড়বে না মনে।
তবে জান, আমার কিন্তু পড়ে।
মাঝে মাঝে না।
প্রতিটি ব্যস্ত দিনের শেষে।
রাত্রির অবগাহনে।


আচ্ছা, তুমি সুখি তো?
তোমার সংসারে তুমি;
প্রাণ খুলে হাসো তো?
খুব জানতে ইচ্ছে করে।
কথা বলতে ইচ্ছে করে।
কতবার মোবাইলের বাটনগুলো-
চেপেও আর ফোন দেয়া হয় না।
আচ্ছা পূর্ণিমার চাঁদ কি এখনো-
তোমার ঘরে উঁকি মারে?
এখনো তুমি আকাশে মেঘ করলে,
দৌড়ে ছাদে চলে যাও?


না বোধহয়!
এখন কি তোমায় এসব মানায়?
বড়লোক ঘরের বউ তুমি।
তোমার চারপ[শে কত চাকর-বাকর।
আচ্ছা তোমাকে কি সে অনেক বেশি ভালোবাসে।


একটু বলবে কি
কিভাবে ভালবাসতে হয়?
যাতে পুরোনো সমস্ত জমাট ব্যথা ভুলে যাওয়া যায়।
জানো, খুব শখ হয় জানতে।
বুকটা খুব ভারী লাগে তখন।
আমিও যে তোমার মত ভালবাসতে চাই।
তোমার মত ভাল থাকতে চাই।
বলনা একটিবার শুধু,
কিভাবে ভালবাসতে হয়?