সাদা ভাত,
ভেবেছিলাম তোমাকে চিঠি লিখবো,
কিন্তু কথাগুলো ঠিক সাজিয়ে নিতে পারছিলাম না।
মন্দভাগ্য আমি, তোমার তেজ বুঝিনি,
তোমার ভেতরে আগুন যে আছে
তাকেও আমি খুঁজিনি।


কি-ই বা সামর্থ্য একতিল ঐ সাদা ভাতের?
অফুরান চাল যখন মজুত থাকে টনের পর টন, বস্তায় বস্তায় বন্দী
তখন আর কি ভাবনা!!


আমি তো তোমার ঠিকানাই ভুলেছিলাম
তোমার স্বরূপ আমি জানি না সাদা-ভাত -
আমাকে ক্ষমা করো।
আমি তো সত্তরের সেই দিনগুলো দেখিনি,
আনন্দমঠে দেখেছি শুধু,
আমি তো তেতাল্লিশের ‘ফ্যান দাও’ শুনিনি
নবান্নে পড়েছি কেবল।
তোমার স্বরূপ এতো ভয়ঙ্কর!!!


সাদা-ভাত, প্রিয় আমার,
যদি মানুষের ক্ষুধাই না নেভাবে,
তবে মাঠে মাঠে ভ’রে ওঠে কেন, সোনার বাংলা?
যদি আমাদের পুড়তে থাকা আত্মাকেই না বাঁচাবে,
তবে গুদাম ঘরে মজুত থাকার কেন এই আয়োজন?
মানুষ কি তবে কেড়ে নিতে ভুলে গেছে?
আর কি মনে পড়ে না তাদের তেতাল্লিশের কান্না?


সাদা-ভাত, দিন আসছে,
ঠিকানা চাই তোর,
কোন গুদামে কত মজুত, হিসাব চাই তোর।
ভুখা পেটে সইবো না বেশি দিন
সবাই মিলে গায়ের জোরে হিঁচড়ে টেনে,
রক্ত ঝরিয়ে, ঘাম ঝরিয়ে,
ঠিকানা তোর পাবোই আমরা, পাবোই।


শাদা ভাত, তুই তৈরি থাকিস।