একটা চায়ের দোকান থেকে সবেমাত্র উঠেছি,
তবে কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
সেটা দৃষ্টিগোচর হলো না।
তার চোখের একেকটা রং,
শেষ হতে হতেও হচ্ছে না।
ফুটে যাচ্ছে নতুন নতুন তারা,
নতুন নতুন চাঁদের খবর।
রাখছে আমার কনুই,
আর কতরকম যে পাখির ডাক!
আমি গাড়িতে উঠলাম খানিক নিদ্রা দশায়।
কিন্তু সেই চোখ, আমায় ঘুমোতে দিচ্ছে না!
এই আর একটুই বাকি,
এই আর একটুই রং,
এই আর একটুই ভাষা,
এই আর একটুর জন্য,
ফস্কে যাচ্ছে সেই মহা মানবী।
“আমি তো বারণ করিনি যেতে”
-সে  বলছে কারো কানে কানে।


আর পাখি, পাখিগুলো
খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসছে আমার কানে।
আমার এক পা শূন্যে,
কাঁধে লাগেজ।
আমি উঠতে পারছি না
আমি হাঁটতে পারছি না
আমি হাত বাড়াব কি!
নাকি খানিকক্ষণ অপেক্ষা করবো?
এসব আবোলতাবোল ভাবতে ভাবতেই,
সেই মানবীর প্রস্থান ঘটলো।
তবে কেন যেন মনে হচ্ছে তার মুখটা-
নন্দিতা, এই সুনন্দিতা?
ওমা, এভাবে কপাল কুচকিয়ে তাকিয়ে-
থেকো না, আমার ভয় করে......