অনন্ত পথের যাত্রী, আমরা অনন্ত পথের যাত্রী
ক্ষণে ক্ষণে ক্ষয়ে যাচ্ছে দিবা রাত্রি ।
পৃথিবীর এই গণ্ডি পেরিয়ে যেতে হবে বহু দূর,
দিবা স্বপ্নে দেখি সেই অচেনা অচিনপুর ।
কাজের হিসাব দিতে হবে টিকিট খানা নিতে
অতি আপনজন তখন পারবে না চিনতে ।
নিজের করা পুণ্য অপরের হবে না
প্রিয়ার পুণ্য তখন ধরা দিবে না ।
সবাই করি অসীম সুখের প্রত্যাশা
নিজ কর্মের দিকে নজর দিলে সব হয়ে যায় দুরাশা ।  
নিজের মনের পূর্বাভাস যদি এমন হয়,
দোজখের আগুনে পুড়ে অন্তর হবে ক্ষয় ।  
পুণ্যের দ্বারা যেন বেহেস্ত নসিব হয়
প্রতিটি কাজে যেন স্মরণে আসে সব সময় ।
অচিনপুরের সুখ শান্তি পাবে সেই জন,
পৃথিবীতে সৎ পথে সুখের মায়া ত্যাগ করে যেই জন ।
অনন্ত পথের যাত্রী, আমরা অনন্ত পথের যাত্রী
ক্ষণে ক্ষণে ক্ষয়ে যাচ্ছে সময়, দিবা রাত্রী ।