রাস্তার পাশে ক্ষুধার্ত মানুষের আহাজারি
দুমুঠো অন্নের জন্য আপন সন্তানকে দিচ্ছে ছাড়ি ।
কলিজা কাঁপে গরীব মায়ের, নিশিতে নিভৃতে কাঁদে
আর কত কাল পরবে তারা দুষ্ট জনের ফাঁদে ।    

বস্রের মাঝে শত ছেঁড়া,  
ঘরের মাঝে নেই যে বেড়া ।
খোলা আকাশের নিচে বাস করে’ অতি কষ্টে ওরা      
শান্তিতে একটু দম নিতেই যে জীবন সারা ।
পোলাও কোর্মার চাহিদা ওদের নেই
অনেক খুশি হয় পরনের একটু কাপর হলেই ।
অনাহারে কাঁদছে দুধের শিশু
মায়ের কাছে খাবার নেই যে কিছু ।
ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির
উঠানে ব্যস্ততা নেই বৌঝির,  
রোদের তাপে সব কিছু শুকিয়ে মৃত প্রায়
রাখাল ছেলে মাঠে তাকিয়ে করছে হায় হায় !


মানুষের কষ্ট দেখে শহুরে বাবুরা দিচ্ছে চিরা মুড়ি গুর
সামনের নির্বাচনে বাড়াতে ব্যালটের জোর ।
কথায় কথায় শুধু শান্তনা,
গরীবের জন্য শুভ কামনা ।
এই করব সেই করব কথার ফুলঝরি
ক্ষমতা পেয়ে নেয়’ অনাহারির অন্ন কারি ।  
গরীবের ভাগ্য কি আর ব্যালটে খুলে ?
ওখানে স্বার্থবাদীদের ভাগ্য ঝুলে ।
রক্ত ঘামে অর্থ যোগায় যৌবনকে দিয়ে বলি
সেই অর্থই লুটেপুটে ছাড়ে বড় বড় বুলি ।  


বস্রহীনকে বস্ত্র দিতে করে লুকোচুরি
গরীবের ঘাড় মটকিয়ে দেখায় বাহাদুরি ।
দুর্ভিক্ষের মাঝে দেখা দায়' ওদের চরণ  
স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে বারে' তাদের চলন ।  
নতুন মতলবে’ চেষ্টা চালায় দুষ্ট বুদ্ধি সাজিয়ে  
কিভাবে ভাঙবে কাঁঠাল অপরের মাথায় হাত বুলিয়ে,
অন্যের বৈশিষ্ট্যের কথা বলে অযথা করে সময় জ্ঞাপন  
ন্যানু টেকনোলজির এই যুগে পোষণ করে এনালগের দর্শণ ।  
কৃত্রিম ভাবে তৈরি করে অন্নের সংকট
শিশু খাদ্যেও বিষ মেশায়, লোভ ওদের কতটা প্রকট ।
অভাবির পেট বুঝেনা মন্ত্র কথার সান্ত্বনা  
ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে সহ্য করে যায় বলতে না পারা যন্ত্রণা  ।


২৪/১০/২০১৩ ইং,