চারিদিক পানিতে ভরপুর গন্তব্য ঐ তো দূরের গাঁ,
যাবার আছে ভেলা, ছই নাও আর ডিঙ্গি নৌকা ।
কোনটাতে পাড়ি দেবে বানের জল,  
বাতাসে ঢেউয়ের পানি করছে কলকল ।  


ছই নায়ের মাঝে এক অদ্ভুত মায়া
প্রখড় সূর্যের আলোয় পাবে মৃদু ছায়া ।
পানির শীতল আবহে জুড়িয়ে যাবে মন
দূরের রাস্তা ফুরিয়ে আসবে দ্রুত যাবে ক্ষণ ।


ডিঙ্গি নায়ে দেখতে পাবে ঢেউয়ের মাতামাতি
জলের মাঝে খুব সহজে সে করে নেয় গতি ।
মাঝির হাতে বৈঠাতে জোড় লাগে বেশ
শান্ত নদীতে পায় সে, একটু সুখের রেশ ।


আরো আছে বরষার ভরষা কত শত
স্পীড বোট, ওয়াটার বাস অত্যাধুনিক যন্ত্র যত ।
ইচ্ছেমত যাবে চলে যাহাতে ভাল লাগে
কম সময়ে যেতে হবে দ্রুত, নতুনের এই যুগে ।


বৃষ্টির জন্যও আছে উপায়
এর ফোঁটা পড়বে না গাঁয়
নিত্য নতুন ভিন্ন ডিজাইনে দৃষ্টি নন্দন ছাতা
যা দিয়ে হেফাজতে থাকবে মানব মাথা ।


কাদা রাস্তায় প্লাস্টিকের জুতা পায়ে দেবে গতি  
এই সময়ে চামরার জুতার হয় যে দুর্গতি ।  


বরষার বর্ষণ থেকে বাঁচতে আপাদ মস্তক আছে পোষাক
বীর দর্পে বাহিরে বের হলে বৃষ্টি অবাক ।
সব দিকেতেই মানবের এতো নজরদারি
বরষার বান বৃষ্টির জল, থামাতে পারে না জীবন তরী ।


০৪/০৮/২০১৩ ইং,