চাপা বেদনায় মুখে মৃদু হাসি
চোখে জল ছলছল পড়লে দোয়ারেরে বসি ।
অভিমান মাখা মধুর বিদায় দিলে আমায়
এ জীবনে হবে নাতো তোমার ঋণ আদায় ।
হাওয়ায় ভেসে দূর দেশে মনে পড়ে তোমার ভালোবাসা
মনের মাঝে ঘুড়ে বেড়ায় আমার মাতৃভাষা ।
মেশিনের মত কাজে যাচ্ছে যৌবনের সময়
তোমার কুলে ফিরব বলে জাগে অভয় ।
এরা এখানে কি সব খায় কাঁচা সিদ্ধ খাবার
কষ্ট হলেও মানিয়ে নিয়ে খেতে হয় এসব আহার
দেশি খাবের খেতে হলে ঘন্টা দুয়ের পথ
ছুটির দিনে মিলে সেথায় দেশি মানুষের রথ ।
কতটা দিন তোমার আঁচল ছায়ায় শান্ত হইনি
কতটা দিন তোমার হাসি মুখটা দেখেনি ।
সামনের ছুটিতে নোঙ্গর করব স্বদেশ ভূমে
এখানে পাশের পরিবেশ শীতে আসে জমে ।
তোমার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জুড়ায়ে প্রাণ
ত্যাগ করেছি সুখ বিদেশ বিভূঁইয়ে রাখতে দেশের মান ।
প্রিয়ার চোখে চোখ রেখে সাজাব কানন
কাননে কখনো যেন না লাগে ভাঙ্গন ।
অন্ধকার রাতে সোডিয়াম আলোয় রাস্তার ফুটপাতে
ইচ্ছে করছে প্রিয়া তোমার হাতটি ধরে খানিকটা পথ হাঁটতে,
বিকেলের সোনালি রোদ্দুরে নদীর তীরের হীমেল হাওয়া
হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমায়, এ যে মোর পরম পাওয়া ।
নিশী স্বপ্নে স্বদেশের মেঠো পথে ঘুরি শহরের অলি গলি
চা চক্রে ভাষান্তর করে ভিনদেশিদের স্বপ্নের কথা বলি ।
সুখের আশাতে দিবসের ক্লান্তিতে ঘোমাই পরবাসে
নতুন দিনের শুরুতে যেন গায়ে কার্মে শক্তি আসে ।


দক্ষিন পাইকপাড়া, ১৩/০২/২০১৪ ইং,
রাত ০২:৩১ মিনিট ।