বাংলা মা’য়ের অশ্রুসিক্ত আঁচলে বসে:
গভীর শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা পাঠাই-
কবিতার বুলবুল, কবি মহাপ্রাণ
বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামকে!
সমূদ্র গর্জন বাতাস বাণীতে পোঁছে
গেছে দিগন্তে। অনন্তে ওঠে রণগীতি,
জনারণ্য কম্পিত বিনিদ্র ইশারাতে!
বৈরী বাতাসও ডাকে আজকে মৌসুমী
বায়ূর শুভাশিস নন্দিত মধুমাস!
তাই সাম্য-মৈত্রীতে জাগাও এ প্রাঙ্গণ
রণতুর্য্যে গড়ো এ বিগলিত সভ্যতা!
সৃষ্টির উল্লাসে দুলে উঠুক তোমার
রমণী বিনিন্দ্য অতুল্য বাবরী চুল!
ওহে মহাবীর সংশপ্তক মহাপ্রাণ-
বুক চিরে বেরোয় কবিকথা নিকুঞ্জে
নর্তিত পাখীর কন্ঠে। তোল গণগাথা
“বিষের বাঁশী” ও “অগ্নিবীণা”র স্পন্দনে!
বুলবুলের গানে বাগ্মীত বাংলা তার
অনিদ্র রুদ্রের জাগানী সুতীব্র কন্ঠে!
তাই এ শতাব্দির রুদ্ধ দুয়ারে বসে
শুনি তোমার অবশ্যম্ভাবী পদধ্বনি!
কালের কন্ঠে অক্লান্ত ঢালো সেই সুধা
বিলুপ্ত যা নষ্টকালের ভ্রষ্ট বিভ্রাটে!
প্রাপ্তির ধারায় নেভাও বঞ্চনা-বহ্নি,
ক্ষুধা-দারিদ্র্য জয়ে গড়ো নব-সংস্কৃতি,
নবজাগরণ ঘটুক বিশ্বমন্ডলে!
অপসংস্কৃতির স্তুপে গজাক সুবর্ণ-
শব্দের অবিনাশী যত বাক্য সম্ভার!
মানব-মহত্বে সাজাও নব-সভ্যতা,
নূতন ইতিহাস রচিত হোক বিশ্বে!