শতাব্দি সঞ্চিত কান্নার মেঘ ঝরছে
নীলাকাশ চিরে চিরে। অগম প্রান্তের
ক্ষুধার্ত নগরী যেমন আনন্দ গিলে
তেমনি বিসর্জিত হয় প্রেম-ভক্তিতে
পূজিত ঐ প্রাণবতী আরাধ্য প্রতিমা!
এই তো জীবন! আজ যে জীবিত আছে
কাল সে দূর্লঙ্ঘ মৃত্যু-ঝোলায় প্রবেশ
করবে। মায়াময় কাকলী মায়াহীন
মিলাবে নিয়তির না-ফেরা নিকেতনে!
সমূদ্রগর্জন, জীবনের কলতান
এক সাথে পিছু ডাকবে সে জৈবনিক
উচ্ছাসকে। শুধু বিষাদের ভায়োলিন
বাজবে মিলনানন্দের অসীম কুঞ্জে!
অন্তঃসলিলা সেদিন আর করবেনা
প্রাণের সঞ্চার! কদম -কেয়া সেদিন
মুছবে না নিদাঘের ঘর্মাক্ত আঙ্গিক!
“শ্যাম সমান” মৃত্যু “বিদায়ী অনিমেষ”
হয়ে গ্রাস করবে জীবনের মাধুরী!
জীবন আরও সুন্দর হোত মরণ
না থাকলে। ফুল আরও সুন্দর হোত
সৌন্দর্য নাশক অপশক্তি না থাকলে!
জীবনের ভয়ঙ্কর সত্য হলো “মৃত্যু”!