দুধ বাজার বাসষ্ট্যান্ড মহা সড়কের ধারে-
বিচিত্র লোকের আনাগোনা চলেই একনাগাড়ে!০১
কোন ফলভান্ডারে দাঁড়িয়ে খোকা খাচ্ছিল বেদানা-
ক্ষুধার জ্বালায় বালিকা ভিখারী চাইলো এক খানা!০২
গালি দিয়ে খোকার জননী আসলো কাছে ধেয়ে-
থাপ্পর মেরে তাকে ফেল্লো নীচে দেখলো সবাই চেয়ে!০৩
মার খেয়ে সে বালিকা ভিখারী ধুলাতে হাতরায়-
কপাল কেটে তার রক্ত ধারা অশ্রুতে মিশে যায়!০৪
খোকার মায়ের গলা শুনে ভীড় হলো দোকানে-
অঙ্গভরা গহনা সবাই দেখতে পেলো সবখানে!০৫
রূপ-লাবণ্য খেলা করে তার অঢেল অলংকারে-
এত প্রাচুর্যেও দয়া পায়না ভিখারী যার দ্বারে!০৬
সইতে-না পেরে ভিখারীর বিলাপ কোন এক পথচারী-
কাছে টেনে নিয়ে সেই মেয়েকে ধমক দিল ভারী!০৭
নিজে কেঁদে বলেঃ তোদের এ দুঃখ-জ্বালা প্রাণে সয়না-
কতলোক কতভাবে মরে-তোদের কেন মরণ হয় না?০৮
মানুষ হয়েও মর্যাদা নেই-হায়রে মানব জীবন-
কংক্রিটে মেশে কত রক্ত কান্না-কে শোনে বিবরণ?০৯
এখানেই শেষ নয়-আরো আছে করুণ কাহিণী-
আজো হৃদয়ে রক্ত ঝরে-শুনি যখন ব্যথার রাগিনী!১০
মহাসড়কে ভিড় দেখে একদিন সেখানে ছুটে গেলাম-
বেদানা-প্রার্থী সেই মেয়ের লাশ লুটানো দেখতে পেলাম!১১
যন্ত্রসভ্য বিশ্বে আজ দুর্ঘটনা (যেন কতই) বেগবান-
মায়াশুণ্য সমাজ থেকে কেড়েই নিলো প্রাণ!১২
একটি দানা বেদানা চেয়ে ভিখারী আজ মাংস পিন্ড-
স্বার্থভরা নির্মম সমাজ তাইতো খন্ড-বিখন্ড!১৩
দেখি আমার মত অমানুষে শুধু ফেল্লো না চোখের জল-
সারা জীবনে তাই দুঃখীদের জমে বেদনাসিন্ধু অতল!১৪
সবই দেখলাম নীরব দর্শক আমি নরপশু-
কিযে ভাবছেন জানিনা আজ-বুদ্ধ রসুল কৃষ্ণ যীশু!১৫