রক্ত-অশ্রু-ঘাম
জীবনে আজো পাইনি এদের দাম!


ভেঙ্গে পড়ে তাই ফুলশয্যা
একি নিদারুণ করুণ লজ্জা
সজ্জিত ঐ নন্দিত নন্দিণীর,
কুঞ্জে এলো না বাসন্তী স্পন্দন
তাই সে পেলো না প্রেমিকের চুম্বন
জীবন কাটে যার আঁধারে বন্দিণীর!


শ্রমিক মজুর চাষী কংকালসার
কাজ ক’রে যায় নির্বোধ অবিকার
নদীর মাঝি জীবন-বৈঠা বায়,
দিনান্তের শ্রান্ত সেবাদাসীটি
খালি পেটে হজম ক’রে প্রভুদের ভ্রূকুটি
জীবন-গাথা আঁকে গানে-কবিতায়!


শিল্পী-কবি-বিজ্ঞানী-দার্শনিক
সমাজ সেবক- লেখক- সাংবাদিক
আত্মদানে চায় জগতের কল্যান,
চিরকাল এরা  বিষয়বুদ্ধিহীন
জনম কাটায় নেপথ্যে বিলীন
দেখে না কেউ যাদের আত্ম-বলিদান!


মুখরা মেয়েটির দিয়ে পরিচয়
ইতিহাসটি যুগে যুগে কথা কয়ঃ
কিছুই শেখে না মানুষ ইতিহাস থেকে,
সংস্কৃতির উচ্ছল ধারা খানি
যাদের দানে আজন্ম ভরা জানি
এ পৃথিবী কমই তাদের আগলে রাখে!


উষ্ণ-রক্ত-তিক্ত-অশ্রু-মাথার গরম ঘাম
ঝরে অবিরাম অঝোর ধারায়, ব্যর্থ যার পরিনাম!