স্রষ্টার শুভাশিষে সৃষ্টিতে এসেছিলে
আমন্ত্রিত প্রাণে ধন্যও ছিলে সেদিন
সৃষ্টিশীল সম্ভারে সংস্কৃতি গড়ে দিলে
বিশ্বে বাংলা তাই প্রশংসিত সীমাহীন,
মর্মে বাজে যুগস্রষ্টা কবির নূপুর--
ফিরে এসো বিশ্বকবি রবীন্দ্রঠাকুর!০১


জগতের ছবি হৃদয়ের কবি তুমি
“বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল”
করেছিলে দান-যা পেয়েছে বিশ্বভুমি
গেঁথেছেও সখী এতে কবরী-ব্যাকুল,
শাশ্বত প্রেমধারা ঝরে যাক মধুর--
ফিরে এসো বিশ্বকবি রবীন্দ্রঠাকুর!০২


সেদিনের সাহিত্য-সম্পদে মন্দাকাল
যুগের ক্ষুধায় কাব্যসুধা নিঃশেষিত
যন্ত্রসভ্য বিশ্বে কবি হয়তো জঞ্জাল
এ দম্ভে নিশ্চিত মানবাত্মাও স্তম্ভিত,
ভুল ভেঙ্গে ছন্দে ঢালো মাধুর্য প্রচুর--
ফিরে এসো বিশ্বকবি রবীন্দ্রঠাকুর!০৩


আজো নীরবেই কাঁদে বিচারের বাণী
প্রেমহীন ধর্ষিত মানবিক সভ্যতা
জীববৈচিত্র্যে ধ্বনিত ভিন্ন সুর জানি
কুমারী-ঐশ্বর্যে মুগ্ধ করো মানবতা,
যত ভ্রান্তি ঠেলে প্রেমে ভরো অন্তঃপুর--
ফিরে এসো বিশ্বকবি রবীন্দ্রঠাকুর!০৪


তোমার হৈমন্তী কল্যাণী আছে বাংলায়
খরার দেশে কদম সুবাসে শ্রাবণ-
ঝরাও আঝোরে ফের কাব্য-প্রতিভায়
ঐ সঙ্গে বজ্রবাণী ক’রোও আয়োজন,
আজ কন্ঠে চাই বিপ্লবের তীব্র সুর--
ফিরে এসো বিশ্বকবি রবীন্দ্রঠাকুর!০৫


অশ্রুসিক্ত কাব্য নয়- চাই বাক্যবাণ
ক্লান্তি মুছে শান্ত করো তপ্ত মরুপথ
বিশ্বপ্রেমে শান্তিকথা হবেই প্রমান
শ্রেষ্ঠ কবি দৃপ্ত চলো শক্ত মনোরথ,
সত্যবাণী ক্লিষ্ট চলে কান্নার্ত সুদূর-
ফিরে এসো বিশ্বকবি রবীন্দ্রঠাকুর!০৬


(বি. দ্র.: এর পর থাকছে নজরুল জয়ন্তীর কবিতা)