কর্কশ কন্ঠী কাঁকের চিৎকার
এবং লাশকাটা ডোমের হাতিয়ার
সন্ত্রস্থ করে ফুলের কোমলতা,
সুকঠিন পাথরের কাঠিন্য
আর নির্দয় হৃদয়ের মালিন্য
সবুজ বনানীর গ্রাসে স্নিগ্ধতা!


মানব মনের অমলিন মহত্ব
পতিব্রতার নিস্কলুষ সতীত্ব
বিনষ্ট করে দুর্বার পৈশাচিকতা,
তাজমহলের সৌন্দর্য খানি
আর অবিনাশী অমিয় বাণী
বিধ্বস্ত করে হায়েনার জঘণ্যতা!


ঐ কোমলতা, স্নিধতা, মহত্ব, সতীত্ব
অমিয় বাণী, সৌন্দর্য্য, সভ্যতা ও কবিত্ব
অবারিত হানা দেয় ত্রাশের বর্বরতা,
সামুদ্রিক জোয়ারের উর্বরা শক্তি
অক্টোপাশ থেকে নির্ভয় মুক্তি
সকল সহজ গতিতে হিমাদ্রির বাধা-পাশবিকতা!


অধিকন্তু, আগ্রাসন, প্রবঞ্চনা, কপটতা, রুক্ষতা ও অশালীনতা-
সমস্ত কুপ্রবৃত্তির একমাত্র বিষাক্ত জন্মদাতা-“হিংস্রতা”!
সবার হৃদয়েই বহমান রক্ত ধারা অভিন্ন ও শাশ্বত,
তবু জীবশ্রেষ্ঠের এ হিংস্রতা দেখে পরমপ্রভূও মর্মাহত!