যদি ফিরে পেতাম আবার
ডাগর লতায় সূর্যের প্রেম
ঝর্ণার গতিতে সমূদ্রের শক্তি,
তবে নীলিমার সমস্ত নীলে জড়ো হতাম
প্রতীক্ষিতা  প্রিয়ার স্বপ্নরাঙা চোখে
আর বার্ধক্যের প্রবাহেও বহাতাম
ভাদ্রের যমুনার প্রমত্ত জোয়ার!


ফিরে পেতাম যদি আবার-
আবীর রাঙানো বসন্তের দিনগুলো
পাখীর গানে প্রভাতী উত্তেজনায়-
আবার যদি প্রত্যাশা মিশে যেত অরুনাভ দিগন্তে,
তবে নন্দিতার খোঁপার ফুলে ফুলে সাজাতাম
বরেন্য নবান্নের সুগন্ধী আমেজ
আর শ্রাবণ দিনের কদমে বেদম শোনাতাম
হারানো দিনের ফেরারী সুরগুলো!


পেতাম যদি আবার ফিরে-
দামাল ছেলের তুঙ্গে ঘুড়ির ডানা
শাপলা ফুলে পল্লী কিশোরীর রঞ্জিত মন,
তবে পোয়াতির স্ফীত স্তনে দুধ জমে যেতাম-
বিনুনী হতাম তার নক্সী কাঁথার কাব্যে
আর রাখালের জাগানিয়া সুরে সুরে
শষ্যে ভ’রে উঠতাম কিষাণির উঠোনে!


ঝরাপাতা পল্লীবিত শক্তিতে শাখায় আসে ফিরে,
পাখীর বাসায় ব’সে সুদূরে তাকাই- দেখি চাতকীরে!