যেদিন তোমাদের মাঝে থাকবো না আমি
জানিনা কে পড়বে এ কবিতা সেদিন,
হতাশায় বেদনায় কেঁপে ওঠে তাই মনোভূমি
চির চেনা ধরনী, ভুলে যাবে তখনি-আত্মজেও হবে অচিন!


ফুল, মধু, নন্দিত বধু-এদের সবাই ভালবাসে
সবাই এড়িয়ে চলে-ফুলের বিষ, সমাজের পতিতা,
নন্দিতার লাবণ্যে মধু জীবন গড়ে অনাবিল মধুমাসে
বিষ আর কলঙ্কী, ঝরে পড়ে চমকী-যেন কবিতার ছবিতা!


জীবন খাতায় প্রাণের কথা লেখে কবি
জীবনের মধু তাই তার কলমের কালি,
মানব প্রেমে কবি বিশ্বমানবতার-এটাই তার পদবী
সাম্যে রম্যে ঝিনুকে মুক্তা ফলায় অচেনা বালি!


জীবনের ক্যানভাসে বাস্তব রঙে রঞ্জিত কবিকুল
কাব্য-সম্পদ বহতা জীবনকে করে শোভিত, সমৃদ্ধ,
ছন্দ লালিত্যে বিশ্বসাহিত্যে যেমন রবীন্দ্র-নজরুল
হৃদয়ে যাঁদের সদা জাগ্রত দেখেন: বণিতা আবাল বৃদ্ধ!


যতকুটু জানি ওগো নিবেদিত-পাঠক পাঠিকাঃ
জীবন মুখী কবিতা গড়ে মানবিক সভ্যতা,
প্রাণের সুরে জগৎ জুড়ে স্পন্দন তুলে সুর সঞ্চালিকা
সংস্কৃতি সভ্যতায় কবিতা-গানের তাই এক অঙ্গাঙ্গী সখ্যতা!