আস্থার আবাস ভূমি থেকে এ প্রণাম
পাঠাই কবি-ঋষিকে। আজকে প্রোজ্জ্বল
উপস্থিতি তাঁর সুতীব্র প্রোনদনায়
অন্তশুন্য যান্ত্রিকতা বিলুপ্ত করুক।
ঘনান্ধকারে মাঙ্গলিক দীপ জ্বলুক,
অধম জনের এ কাঙ্খিত মহাধন!
অবক্ষয়ের চরম দুর্দিনে আবশ্যক
ঐ মহিমান্বিত প্রাণের সৃজনশীল
দুর্দম পরশ। নষ্ট কালের বিরুদ্ধে
তাঁর নূতন চিরায়ত সৃষ্টি সম্ভার
শাশ্বতিক শক্তি দিয়ে অষ্ফুট কুঁড়িকে
বিকশিত করুক। সেজে উঠুক আজ
নান্দনিক মালঞ্চ অসীম জীবনের
প্রতিশ্রুতি নিয়ে। তাই আবার আসুন
স্বকালবিদ্ধ যুগন্ধর ঐ কবি সত্বা!
ইতিহাস সৃষ্টির বিশালত্বের সব
বৈভব নিয়েই তাঁর পূনরভ্যূত্থান
ঘটুক। কেবল কবি হিসেবেই নয়,
আসুন যুগ স্রষ্টা ও সভ্যতা-নির্মাতা
হিসেবেও। কবিতা বৈশ্বিকতায় ঋদ্ধ।