রাজবাড়ীর পোড়ো প্রাসাদে আমায় বলেছিলেঃ
বলো-কেন আমি পড়বো কবিতা?
জানি-মনটা তোমার ক্ষুব্ধ ছিল গদ্যের মিছিলে-
ভাল লাগেনি তখন তাই কবিদের বাগ্মিতা!


পত্রিকায় “ধর্ষণ” কবিতা পড়ে-
ধর্ষকদের মাথায় বজ্রাঘাত করেছিলে তুমি,
“নারী” কবিতায় দেখেছি তোমার অশ্রু ঝরে
তোমার চোখের নীলে ও ফোটে নন্দিত কাব্যভূমি!


জানি-তুমি জীবনকে বড্ডো ভালবাসো-
ভালও বাসো কাব্য কারন তুমি নিজেই কবিতা রসময়ী,
নজরুলের মতো তুমি আগুনে বসে ফুলের হাসি হাসো
জীবনের শ্লোগানে তুমি অদম্য বিপ্লবী, দুর্দম বিজয়ী!


রোগ-পান্ডুর মুখে সুস্বাদু খাবার ও বিস্বাদ লাগে
যুগযন্ত্রণা বিষে সেদিন তুমি ছিলে বিতৃষ্ণ, জর্জড়িত,
জানি-প্রেমিকারা গোপন রাখে অন্তঃস্থ প্রেম মিষ্টি অনুরাগে
সে বিস্বাদ ও অনুরাগে তোমার মনটা ছিল অস্তমিত!


দেখো ফুলের সাথে তারাগুলোও হাসছে মিটিমিটি
জানি-তোমার মনরাজ্যে তা কবিতার দুয়ার খোলে,
তোমার স্মৃতিচারনে পাঠালাম এ কবিতার চিঠি
তোমার পথে পান্ডুলিপিটাও কাঁদে আজ সন্ধ্যার কোলে!