মানুষকে চিনিনা আমি জন্মের পরিচয়ে
দেখি তার জীবনের কর্ম ও গুণাবলী,
রবিঠাকুরের যতটুকু পরিচয় জোড়াসাঁকো দেয়
তার চেয়ে অনেক বেশী দেয় “গীতাঞ্জলি”!


চুরুলিয়ার পরিচয়ে নজরুল পরিচিত নন
তাঁর শ্রেষ্ঠ পরিচয়ে বাগ্মীত “অগ্নিবীণা”,
সুকান্তের বড় পরিচয় তিনি “কবি কিশোর”
শোষণ-বঞ্চনায় ফুটেছে তার প্রচন্ডতম ঘৃণা!


মানব সেবায় বিশ্বখ্যাত ও চিরজীবি তেরেসা
হয়েছেন: “মাদার ও নোবেল বিজয়ী,”
সূর্য কর্মচঞ্চল সমস্ত পৃথিবীটা জুড়ে
দীপ্তির জোরে অন্ধকারেও সে সর্বত্র জ্যোতির্ময়ী!


কোন বিশেষ স্থানের নদী নয় “ধানসিঁড়ি”
তার বড় পরিচয়ে অবিনাশী “বনলতা সেন”,
কত বিরহীর চিত্তে জীবনানন্দ “হায় চিল” কবিতা
বেদনাবিদ্ধ কতপ্রাণ তা আজো বিমুগ্ধ পড়েন!


সেক্সম্পীয়্যারের “ডার্কলেডি” কবিদের প্রেরণা যোগায়
ইংল্যান্ড থেকে তার বিস্তৃতি ঘটেছে বিশ্বময়,
তাই জন্ম দিয়ে চেনা যায় না প্রকৃত কোন মানুষ
কর্ম ও গুণাবলীতেই ফুটে ওঠে তার যথার্থ পরিচয়!