“কবিতার মন্দাকাল” কথাটি মুখে মুখে শুনি
কারন-দুঃসময়ের অগ্নিপাতে সুসময় পালায় দূরে
তাই যুগের মাধুর্যহীনতায় নিরানন্দ প্রহর গুণি
আর দুর্গম প্রহেলিকার অন্ধকারও দেখি প্রেক্ষিত জুড়ে!


জীবনের মধু হলো গণমানুষের কবিতা
জীবনের মালঞ্চ যেমন সেজে ওঠে হৃদয়-কুসুমে,
কুসুমের ভারে মনের কোণে থাকে রসময়ী সঞ্চিতা
আর দুর্বিসহ দাবদাহ মিলায় কদমের নিজভূমে!


ফুলের মধুকর বাস করে পাঠকের গভীরে
তাই মৌচাক কবিতা, পাঠক-পাঠিকা মধুকর,
যুগের বিচিত্র রূপ ফুঠে ওঠে কবিতার আঁখি-নীরে
মধু ও মধুকরে পাঠকের অন্তরে হেসে ওঠে সুন্দর!


দুঃসময় কেন নির্বাসিত করবে সুসময়?
দুঃসময় অভিশাপ, কবিতা-কুমারী কালের দর্পন,
কবিতা আর মানবিক সভ্যতার শুভ পরিণয়-
ডেকে আনে সাবলীল প্রজন্ম, গড়ে যারা জীবন-দর্শন!


ফুল, মধু ও মধুসন্ধানী ঘনিষ্ঠ চিরকাল-
জায়া ও পতির সম্পর্ক থাকে অবিচ্ছেদ্য কাছাকাছি,
তাই মন্দাকালের আঁধার কাটবে প্রভাতী ধ্রুবলাল
জানি, কাব্যের মৌচাকে একদিন নিশ্চিত বসবে পাঠক-মৌমাছি!