অনু ও অনীক
প্রেমিক-মিথুন অভিনব সন্ধানে,
দৃঢ় শপথে দুর্গম পথে দু’জন পথিক
জীবন ভ’রে ফোটাবে আনন্দ-মাধুরী বিধ্বস্ত প্রাণে।


অনুর তনুভরা মোহের লাবণ্য
বুক ভরা অনন্ত প্রেম,
নিজ কৌমার্য অনীক ঢালবে অনিবার্য পৃথিবীর জন্য
দু’জনের সত্বা তাই মিশে এক স্রোতে ব’য়ে চলে মোলায়েম।


পুরনো প্রাসাদের জীর্ণ কুঠুরীতে
স্বপ্ন বিলাসে দু’জন কোথায় হারিয়ে যায়,
প্রেম ও বীর্য লাগাবে কাজে সুফলন সৃষ্টিতে
জাগাবে ঘুমন্তে অগ্নি ইশারাতে নবান্নের আঙ্গিনায়।


ঘরে-বাইরে যুদ্ধশেষে বাস্তবের সেই দিনটিতে
মিলিত হবে দু’জন সৃজন-উন্মুখ ফুল-শয্যায়,
ধীমান প্রজন্ম হাসবে এতে উদ্দীপনার নন্দিত সঙ্গীতে
জাগবে জনপদ অবক্ষয় ঠেলে সে ছন্দিত অভিযাত্রায়।


রোশনাই ঢাকবার অন্ধকার প্রেতাত্মার সুখে
হাসতে হাসতে সামনে এলা ভয়ংকর তিন সন্ত্রাসী,
ছিনিয়ে নিলো সব টাকা ও সোনা দু’জনের কাছ থেকে
গুলিতে লুটালো প্রতিবাদী অনীক বজ্রের প্রতীক-প্রতিবেশী!


সেখানেই শেষ নয়, আছে অনু-পুস্পিত যৌবনা
ওরা ছিন্ন ভিন্ন টুক্রো টুক্রো করে খেলো তার ঐ দেহ,
সহিষ্ণু বসুন্ধরা স’য়ে নিলো এ সমস্তই আন্মনা
হলো না অগ্নুৎপাৎ, উঠলো না কোন উম্মত্ত উত্তাল বিদ্রোহ!


বিধ্বস্ত প্রাসাদ প্রতাপ হারিয়েছে কত যুগ আগে
ভূমিকম্প প্রায়ই থাকে সুপ্ত, বাউল উদাসী বন্যা,
ফুটবে কি আবার কুঞ্জে কুসুম মিলনের অনুরাগে?
হায়েনা আর কত চেটে পুটে লুটে খাবে, শিশির ও ফুলের কান্না??