মানুষের সকল কাজে, কথায় ও ব্যবহারে
যদি মনুষ্যত্ব ফুটে না ওঠে,
তবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার
পাশবিক অভিশাপই ভাগ্যে জোটে!


মানুষতো এ বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব
তবে কেন সে দেবে না শ্রেষ্ঠের পরিচয়?
পাশবিক চিন্তায় ও কাজে সারাক্ষন লিপ্ত থেকে
কেন সে মেনে নেবে হিংস্রের কাছে ঘৃণ্য পরাজয়??


জরায়ূ ছিঁড়ে এসে মানুষ ভরায় মায়ের কোল
মায়ের রক্তে গড়া দুধেই সে বেড়ে ওঠে ধীরে ধীরে,
মায়ের চোখে স্বপ্ন ভাসেঃ শিশু তার হবে বিশ্ব সেরা
অথচ পশু সেজে সে মাকেই কাঁদায় বেদনা সিন্ধু তীরে!


বাবা-মায়ের রক্ত ও ত্যাগের এটাই কি কাঙ্খিত প্রতিদান-
আর এটাই কি চায় জীববৈচিত্র্যের বিচিত্র প্রাণীকুল?
চলমান পৃথিবীর ঘটমান কর্মকান্ড দেখেও-
বিবেক-মনুষ্যত্ব ফোটেনা কেন তার পুষ্প সমতুল??


বলুন: এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বাকী সুশীল সমাজ-
কোথা-ই বা রাখবে এত ঘৃণা, দৈন্য ক্ষোভ আর লজ্জা?
বৃহৎ জনগোষ্ঠিই তো হিংস্র, নিলাজ, নিষ্ঠুর, পাশবিক
যারা দুর্যোগ-মহামারীতে বিধ্বস্ত করছে কুমারীর ফুলশয্যা!


নীচে থর থর কেঁপেই চলেছে পৃথিবীর সহিষ্ণু মাটি
ক্ষুব্ধ নিসর্গের সমস্ত প্রাণীকুল ক্রোধে শ্বাষরুদ্ধ,
মরু-সাগর-বনানীর বিষোদ্গার আকাশে বাতাসে
হিংস্রের দল ঘোষে অনর্গল “মানবিক পশুত্ব” নির্মূলে যুদ্ধ!


ঈশ্বর আল্লাহ গড ভগবান সকলকেই ভালবাসেন
জলে, স্থলে, নভোমন্ডলে তিনি সবারই মঙ্গলকামী,
বিবেক-জ্ঞান-মনুষ্যত্ব বিকশিত হয় তাঁরই প্রার্থণায়
কবির সাধনা-মানবিক উন্মেষঃ অন্তরে আছেন অন্তর্যামী!