পোড়ো প্রাসাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে
বলেছিলে পাশে এসে “কি ভাবছো তুমি”
সুপ্ত হৃদয় দীপ্ত প্রায় চায় বের হোতে
মুখে কি যে বলি তা ব’সে ভাবি আমি!
কেন তুমি প্রশ্নের ঘায়ে গোপন বেদনা জাগালে?
নাটোরের এই রাজবাড়ীর মাধবী লতার তলে!


ভেবে কিছুক্ষণ বলেছিলাম প্রাসাদ দেখে দেখেঃ
যা কিছু  করেছি ভুল, যা করবো তাও হয়তো হবে ভুল,
জীবনের অন্বেষায় মরণের অতৃপ্ত তৃপ্তির সুখে-
আর কতকাল দিয়ে যাবো বলো-ভুলের মাশুল?
আমাকে থামিয়ে পুরাতন প্রেম নূতন করে শোনালে-
নাটোরের এই রাজবাড়ীর মাধবী লতার তলে!


বলেছিলে তুমি; জীবনটাই তো এমন ভুলে ভুলে ভরা
ভুল কে করেনি দেখাও তো ইতিহাসে,
আর এক ভুলে তুমি হও বর- আমি স্বয়ম্বরা
পুরনো প্রেম চিরঞ্জীব হোক নূতন করে ভালবেসে!
কথাটি বলে খোঁপায় কাঁটা ভাল করে গুঁজে দিলে-
নাটোরের এই রাজবাড়ীর মাধবী লতার তলে!


সেই কবেকার “তুমি” আজও বদলাও নি দেখি
নিরাশার অন্ধকারে চিরদিন জ্বেলেছো আলো,
জানতে চাও- সেদিনের তোমায় ভুলে গেছি না’কি?
না বন্ধু, ভুলের মধ্যেও সে ভুল হয়নি-কথাটি জেনো ভালো!
এরপর দেখলাম স্বপ্নরাজ্য তোমার চোখের নীলে-
নাটোরের এই রাজবাড়ীর মাধবী লতার তলে!


জানি একদিন চলে যাবো একলা শূন্য হৃদয়
থাকবে কবিতা ও তুমি, থাকবে ভাঙ্গা প্রাসাদখানি,
চিত্তের প্লাবণ ব’য়ে যাক নিবারন সকারণ চিন্ময়
ভুলে ভুলে ভু’লে গেলে ভাল ক’রে মনে ক’রো বিদায়ের বাণী!
অশ্রু মুছে বললে: যেতে আমি দেবোনা তোমায় কোন কালে-
নাটোরের এই রাজবাড়ীর মাধবী লতার তলে!