রমণ বঞ্চিত কোন রমণীই চায়না অসার মাতৃত্ব-
যদি না ভেজে কামাদ্রি মৈথুনের ঘামে,
তবে এ জীবন কেন রবে নিষ্ফলা তৃপ্ত-
প্রভূদের সেবাদাসী হয়ে অল্প দামে?


রবিঠাকুর বলে গেল কবিতায়
নজরুল গানে,
জেগে ওঠো মহামানবের মিলন মেলায়
ঝ’রো না ভুল করে নিরাশার উদ্যানে!


রূপসী বাংলার প্রেমে পড়ে জীবনানন্দ
দেখেনি পৃথিবীর রূপ-লাবণ্য,
দুর্জয় ঘাঁটি বানিয়েই সুকান্তের আনন্দ
দেখেও নি কোন দিন অন্যভূমি অনন্য!


সমুদ্রও আকাশ দিয়ে গেছে সমস্ত নীল চোখ দুটো ভ’রে
এ মাটিরই রম্য-লাবন্যে ধন্য আমি পূর্ণ রমরমা,
প্রতিদিন দেখি ক্ষোভের অশনিপাত শুন্য ভাঙ্গা ঘরে
তবু আমি মানব প্রেমের সফেন দুধে প্রতীক্ষিত প্রিয়তমা!


চিত্ত কেন নিত্য অনিত্য এমন উম্মত্ত দিনে-
এক মুঠো বৈশাখী ফসলের রোদ্দুর-
ঝরেনা কেন এ যুগের শ্যাওলা জমা উঠোনে-
ভরাবে যা আগামী প্রজন্মের জীবন উচ্ছল আনন্দে অনিন্দ মধুর?


শুধু এক জনকেই আমি যমুনা প্রমত্তা ভালবাসি-
দ্রৌপদীর খন্ডিত বন্টিত পঞ্চ স্বামীকে নয়,
স্বপ্নের ফুলশয্যায় ফুটিয়েছি  তাই মধু মিলনের বাঁশী
জানি শুভদিনে হবে শুভ পরিণয় নিশ্চিত নিঃসংশয়!


সুস্থ্য সাবলীল সভ্যতা বিনির্মানে চিরকাল প্রয়োজন-
নন্দিত নারী-পুরুষের স্পন্দিত মেধা- ভালবাসা,
নইলে ফোটেনা অনাগত মুকুলিত স্বপ্নীল মন-
পূরণ ও হয় না কখনো শঙ্কিত কুমারীর তিলমাত্র আশা!


চির লাঞ্ছিত কুমারী আমি ভয়ংকর  যুগের ক্ষয়িষ্ণু মনোরথে-
প্রতিদিন গড়ে যাই মন, প্রতিদিনই ভেঙ্গে যায়,
প্রতি মাসেই ক্ষুব্ধ ডিম্বানু বেরোয় অতৃপ্ত যোনি পথে-
নিত্য অনিত্য এ চিত্ত নিয়ে দাঁড়াবো আমি কার পাশে হায়!