সত্যকে প্রায়শ কিনতে হয় রক্তের দামে
সত্যকে কখনো মুছতে চায় রক্তলোভী বুলেট,
সত্যাশ্রয়ী তবু সতত সজীব তাকে সুন্দরের খামে
সূর্যের প্রেমে আজীবন ঝোলে সূর্যমুখীর বিরহী লকেট!


মুগ্ধ কুমার কাংখিত সত্যবতী কুমারী
আজীবন দৃঢ়পণ চালায় সংযম-সাধনা,
অলিকুল চায় ফুল মুখে মুখে সুধা সঞ্চারী
অশ্রু-ঘামে জীবনের দামে সংসার সুখ কেনে ললনা!


শৈশবে মায়ের সিক্ত স্নেহে, বাবার ঘর্মাক্ত জমি চাষে
সত্য সাধনা দেখেছি একটানা সমর্পিত সমুজ্জ্বল,
কৈশোরে মাতৃহারা দেখেছি সত্যকে দুঃখের প্রতিভাসে
যৌবনে সত্যকে চিনেছি পিতার চিতায় অশ্রুসজল নির্মল!


রবিঠাকুর সৃষ্টি করেন নি “গীতাঞ্জলি”-
গীতাঞ্জলিই তাঁকে বানিয়েছে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী,
কবি নজরুল লেখেন নি “বিদ্রোহী”- সুপ্তদ্রোহের পদাবলী-
বরং দ্রোহই তাঁকে পাঠকচিত্তে লালিত্যে জাগিয়েছে প্রত্যয়ী!


তাই ঘনিষ্ঠ কাছে এসো না গো লক্ষ্মী অরোধ্য যন্ত্রণায়-
দূরে থেকেই মনে মনে ভালবেসে থেকো তুমি অনুরক্ত,
মৃত্যুর সত্যকে নিয়ত জানায় কাকলী মায়াময় সন্ধ্যায়
জীবন কখনো হাসে উল্লসিত, কখনো কাঁদে অভিশপ্ত!