আমি লাটাই হাতে,
একটা রঙিন ঘুড়ি উড়িয়ে ছিলাম আকাশে।
ঘুড়ি যত উপরে অগ্রসর হচ্ছিল,
তা দেখতে তত বেশী সুর্দশন লাগছিল।
আমি তাই মনের আনন্দে,
ছেড়ে দিয়েছিলাম লাটাইয়ের সর্ব সুতা।
আমি তখন বুঝতে পারিনি,
ঘুড়ি যত বেশী উপরে অগ্রসর হবে,
মেঘ তার নিকটে চলে আসবে।
আমি তাই বোকার মত,
ঘুড়িটাকে মুক্ত করে দিয়েছিলাম।
একসময় আমার রঙিন ঘুড়ি,
ডাকা পড়ে গেলো মেঘের আড়ালে।
আমি তখন লাটাইয়ে সুতা না গুছিয়ে,
ব্যস্ত হয়ে গেলাম ঘুড়ি দেখতে মেঘের আড়ালে।
আমার দুচোখ তখন তন্ন তন্ন করে,
খুঁজতে ছিল সেই ঘুড়ি,
কিন্তু ঘুড়ির কোন দেখা মেলেনি।
তখন শুরু হলো এক ধমকা হাওয়া,
চারদিক ছেয়ে গেলো অন্ধকারে।
আমি আবার ব্যস্ত হয়ে গেলাম,
আমার লাটাইয়ের সুতা গুছাতে।
সুতা গুছাতে গুছাতে আমি বুঝতে পারি,
আমার সুতায় আর ঘুড়ি বাঁধা নেই।
মুক্ত ভাবে নেমে আসলো লাটইয়ের সুতা,
ঘুড়ির কোন খোঁজ নেই।
আমি এখন বুঝতে পারি,
যদি ঘুড়ি কভু আমার আড়াল না হতো,
তবে সে যেখানেই ছুঁটে যেতো,
আমি তাকে দেখিতে পারতাম।
আমি আমার রঙিন ঘুড়িকে,
মুক্ত আকাশে উড়তে দিয়ে হারিয়ে  ফেলেছি।
আমি যদি সুতায় বেঁধে রাখতাম ঘুড়ি,
না দিতাম আকাশে উড়িয়ে মুক্তির স্বাধ,
তবে সে আমার সান্নিধ্যে থাকিতো।
এতো সহজে সে আর,
ছুঁটে যেতে পারতো না সুতা কেঁটে।
আজ আমার একটু ভুলের ফলে,
সুতো কেঁটে ঘুড়ি চলে গেল বহু দূরে।