শ্রাবণের প্লাবনে যে নদী জলে ভরে,
সেও তো জলশূন্যে হাহাকার করে।
নদীর গতিধারা কি তাই কোনদিন থেমে থাকে?
তবে আমি কেন শুণ্যতায়,
এই ভুবনে করে যাবো হাহাকার?
নদীর মতো বুকে শূণ্যতা নিয়ে,
আমিও বয়ে যাবো একাকার।


পাহাড় কত শক্ত হয়ে ভূপৃষ্ঠে রয়েছে দাঁড়িয়ে,
ঝর্নার জল পরে তার বুক চিরে।
পাহাড় কি তাই কোনদিন কান্নায় ভেঙে পড়ে?
তবে আমি কেন ব্যথা পেলে,
ভেঙে পরবো এতো সহজে?
পাহাড়ের মত শক্ত হয়ে,
আমিও থাকবো দাঁড়িয়ে।


সূর্যের প্রকট আলোর ঘরে,
মেঘ এসে হঠাৎ ভরিয়ে দেয় অন্ধকারে।
সূর্য কি তাই বিলীন হয়ে যায় চিরতরে?
তবে আমি কেনো হেরে গিয়ে,
গুটিয়ে নিবো নিজেকে?
সূর্যের মত দীপ্তমান হয়ে,
আমিও জ্বলে থাকবো এই ভুবনে।


সাগরের ঐ বিশাল বুকটি চিরে,
কত না মনি মুক্তা মানব আহরণ করে।
সাগর কি তাই কোনদিন কৃপণতা করে?
তবে আমি কেন নিঃস্ব হলে,
ডুবে থাকবো বুকে বিষণ্ণতা নিয়ে?
সাগরের মত মহৎ হয়ে,
আমিও বেঁচে থাকব এই পৃথিবীতে।


মৃত্তিকা কত যুগ যুগ ধরে,
কত যন্ত্রনা সইতেছে তার বুক জুড়ে।
মৃত্তিকা কি তাই কোনদিন বেদনায় অনুতাপ করে?
তবে আমি কেন দুঃখ পেলে,
দুঃখ বেদনায় থাকবো রুষ্ট হয়ে?
মৃত্তিকার মত সহনশীল হয়ে,
আমিও সব বেদনা যাবো যে সয়ে।