সে তার সুপ্ত প্রতিভাকে তৃপ্ত করতে,
এক চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতায় নেমেছিল।
সেখানে তার আকঁতে হবে এক উপপাদ্য,
আর দিতে হবে উপপাদ্যের সুক্ষ্ম সঠিক প্রমান।


সে তাই চিত্র অংকনের জন্য,
খুঁজতে ছিল এক মসৃণ কাগজ।
সে অনেক খোঁজা খোঁজের পর,
কাগজ হিসেবে বেছে নিলো,
আমার এই মনটাকে।


সে কাগজ হাতে পেয়েই,
তার মনের আনন্দে
অংকন শুরু করে দিলো।
কত দাগ,কত রেখা,
কত বিন্দু স্থাপন করে,
ক্ষত বিক্ষত করে দিলো সে,
আমার এই মনটাকে।
সে ভাবলোনা একটি বারো,
কষ্ট কি হবে না আমার মন জুড়ে।


আমার মনটাকে এতো কাঁটাকুটি,
ক্ষত বিক্ষত করার পরেও,
আমি কোন কষ্ট পাইনি সেইদিন,
কেননা তার ভালোবাসা মিশ্রিত ছিল
সেই চিত্র অংকনের মাঝে।
আর আমি বারবার চেয়েছি,
এই প্রতিযোগিতায় তার চিত্রটি হোক,
সবার চেয়ে সেরা চিত্র।
তাই কষ্ট গুলোকে সেদিন আমি,
মাটি চাপা দিয়ে ছিলাম।


আজ সে আমাকে ছেড়ে
চলে গেছে বহুদূরে,
আর সাথে নিয়ে গেছে,
আমার সেই অংকিত করা মনটাকে।
সে প্রতিদিন সেখানে,
রেখা টানে,বিন্দু স্থাপন করে,কাটাকুটি করে,
তার উপপাদ্য কে সঠিক প্রমান করতে।
আর তখন আমার হৃৎপিণ্ডের আর্টারি বেয়ে,
নেমে আসে লাল রক্তের স্রোত ধারা,
তবু্ও আমার কোন কষ্ট হয়না।
আমি বলি তুমি মনের আনন্দে,
অংকন করে যাও আমার মনের মাঝে।
আমি চাই তুমি অনেক বড় চিত্রশিল্পী হও।


আমার মন তোমার অংকনের উপকরণ হয়েছে,
তাতেই আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
তুমি আমার মনে উপপাদ্যের প্রমান খুঁজতে থাকো,
যত পারো কাঁটাকুটি করে,
ক্ষত বিক্ষত করে,
একটা সর্বসেরা চিত্র অংকন করো।