দ্যাখো আঁখি তুলে,
দক্ষিণ জানালা খুলে-
গগনে কোটি তাঁরার মেলা,
বাঁশ বাগানে জোনাকি করছে খেলা।
বাকি পৃথিবী নিদ্রার ভবনে,
কবি নিরব কেন? মনহর এ ক্ষনে।
কহিলাম ভেবে কবি-
               গগন কী দ্যাখোনি তুমি?
               ছুঁয়ে যায় হিয়া,
               কখনো মেঘ,
               কখনো বৃষ্টি,
               এখন সূন্দোর্য ভরিয়া।
চেয়ে দ্যাখো চন্দ্র আলোর রেখা,
অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবন করেছে উজ্বালা।
কহিলো কবি- এবার মুখ ফুটি
               “বলিতেছো তুমি,
                কথা গগনের-
               সেতো ছলনাময়ী,
               থাকেনা একজনের।”
এখন ধরেছে বুকে, তাঁরা-চন্দ্রের সূন্দোর্য-
প্রভাত হলেই দেখিবে, বুকে নিয়েছে সূর্য।
কহিলাম- “কবি কেন বলিতেছো এ বাণী?
তবে হয়েছো কী তুমি অভিমানী।”
অভিমান কেন? যাহা সত্য ভবে-
তাহায় বলিবো, আমি কবি তবে।
তো প্রশ্ন করি-
               গগন কেমনে ছলনাময়ী?
উত্তরে কহিলো কবি-  
“এখন গগনে জ্বলছে- তাঁরা মিঠি মিঠি,
চন্দ্র আলো করছে- উজ্বালা পৃথিবী।
ক্ষনিক বাদে প্রভাত হবে,
গগনের বুকে সূর্য উঠবে।
তাঁরা-চন্দ্র বুকেই রবে,
তবে সূর্যের কাছে তুচ্ছ হবে।
কখনো আবার উড়বে মেঘের ভেলা,
তুচ্ছ হয়ে ঢেকে যাবে সূর্যেরও উজ্বালা।
হবে তখন অন্ধকার সৃষ্টি,
সূর্যের অশ্রুজলে নামবে বৃষ্টি।
তাই আমি কবি বলি- গগন ছলনাময়ী।”