ভয়াবহ এক স্বপ্ন দেখেছি —
শতবছরের পরে
রাজনীতি দল, ছলনা-দ্বন্দ
লেগে আছে ঘরে ঘরে!


ন্যায়-নীতি যত ভয় পেয়ে গেছে
খল নীতি যত জয় পেয়ে গেছে
সিনেহ-মমতা রব করে কাঁদে
শ্রদ্ধাটা যাদু ঘরে!
                         —শতবছরের পরে ।


অতিথীর সেবা করলনা কেহ
হলযে স্বার্থপর;
আপনারে সদা পর করে দিল
অবিশ্বাসের ঝড়!


ঋণের দাতারা লাঠি-ঝাঁটা হাতে
কঠিন প্রতাপে ধরে এসে পাতে
অত্যাচারিত নির্বাক হয়ে
যুলুমের ফাঁদে পড়ে...
                         —শতবছরের পরে ।


ভাল মানুষেরা মাথা ঠুকে কাঁদে
চোখে নেই কোন জল;
চারদিকে এই চর্চায় চলে
কার কত জোড় বল—


ক্ষমতা লোভিরা রাজত্ব নিবে
অত্যাচারীরা প্রশংসা পাবে
ধর্ম ধারণ করবেনা কেহ
ভণ্ডতে যাবে ভরে!
                         —শতবছরের পরে ।


মানবতা তার সংজ্ঞা হারালো
মূঢ়েরা নিষ্কলক;
পৈশাচিকের জয়-জয়াকার
ঘৃণিতরা অপলক!


কান্না-হাসিতে ছল-ছাঁয়া জড়া
বিচারের ভারে দূর্নীতি ভরা
তিল নিয়ে তাল, তালকে বেতাল
আনন্দ গেছে মরে!
                         —শতবছরের পরে ।


শক্তির ভাঁড়ে ভবানীরা নাচি
জোড়-শক্তি লড়াই;
শক্তি মারতে ফাঁদ ফেলে রেখে
ফাঁদারু করি বড়াই!


টু’ইন টাওয়ারে বুশ প্রশাসন
উড়ে উড়ে পড়ে গড়ে প্রহসন
দেশে দেশে খুঁজে মারল বিধাতা(?)
বিধানের ভেলা গড়ে!
                         —শতবছরের পরে ।


দেশের মানুষ দূরাচার হল
দূর্গতিতে দেশ;
পরিকল্পনা প্রচ্ছদে থাকে
হঠাত্  স্বপ্ন শেষ!


ভাবি চিন্তায় নাস্তিক যত
গত চিন্তায় আস্তিক তত
অনুশোচনার মহীরূহ চাষি
সিদ্ধান্তে না বরে!
                         —শতবছরের পরে ।


শাসকেরা সব দূষা-দূষি করি
শোসকেরা খুঁজি ফাঁক;
খবর-নিউজে কাজ শত-শত
কাজ করে ঘুরপাক!


একচোখা সব দৈত্য-দানব
বানরেরা ভাই সেজেছি মানব
সুস্থ্য-চিন্তা-মস্তিষ্ক গুলো
পায়ে পায়ে গেল দূরে!
                         —শতবছরের পরে ।


গত রাত থেকে স্বপ্ন দেখছি
এল এল বুঝি ভোর;
কাটেনি আমার হতভম্বতা
কাল স্বপনের ঘোর!


উঠব-উঠব উঠতেই হবে—
জাগব-জাগব জাগতেই হবে—
উল্টে উল্টে বালিশেই মাথা
নিশ্চল আছি পড়ে!
                         —শতবছরের পরে ।


ইতর প্রেম ও ইতরাদরে
ভূবন উঠেছে ভরি;
আমিও ইতর তাই বুঝি এই
বালিশেই ঠুকেঁ মরি!


ত্যাগ নাই নাই, তেজ নাই কোন
গিফ্ট দেই যা তসবিতে গোণ
এতটুকু আর ছাড় নাই নাই
বরং নিবযে ধরে!
                         —শতবছরের পরে ।


পাপ সাধনায় শ্রেষ্ঠ হয়েছি
বিশ্বকে করে লীন;
পবিত্রতাকে ফেলেই এসেছি
বহুদিন ... বহুদিন!


খুন-রাহাজানি নিত্য ঘটনা
তর্কেই হয় সকাল সূচনা
বুঝিনা বোধের আপন কর্ম
ভাল কাজে বাধা পড়ে!
                         —শতবছরের পরে ।


চারদিকে দেখি সোরা-সিফিলিস
অসুস্থ্যতার ধুম;
অপসংস্কৃতি মাথায় চেপেছে
কেবল ভাঙ্গল ঘুম!


—উচ্ছৃঙ্খলে, শৃঙ্খল করে
টেকোরা যেমন টাক ভাল করে
হৈ-হুল্লোর নিয়ম-কানুনে
আইন কাঁদছে ডরে!
                         —শতবছরের পরে ।


    “এতো আবছায়া! একী ভোর?”
    পরিশেষে সোরগোল;
    মাথা হল হল ঘোল;
    সারাদিন বুঝি বিশ্রাম নাই
    খোলরে দরজা খোল।