হঠাৎ একদিন উড়ে চলে যাব,
শঙ্খচিলের সাথে ঐ উঁচু আকাশের ভেতর,
সাদা সাদা মেঘ যেখানে চাক বেঁধে আছে।
কখনো আর আসব না দেখতে,
সকালে মাঠে রাখাল গরু নিয়ে যাচ্ছে।
কিছু পাখি উড়ে যাচ্ছে বিলে।
কয়েকটি ঘুঘু ক্ষেতের আইলে খুঁটে খুঁটে শস্যদানা খাচ্ছে।
শালিকের দল আরো কিছু প্রজাতির পাখি উড়ে আসছে
বসছে ক্ষেতের উপর আমাকে দেখেই উড়াল দিল এক ঝাঁক পাখি।
আর আসব না এগুলো দেখতে।
মাঝেমধ্যে একটি বিমান উড়ে গেল মাথার উপর আকাশ দিয়ে  
একদল শিশু চিল্লাচিল্লি করল বিমান দেখে ,
এগুলো দেখব না আর।
রাতে আকাশে চাঁদের পূর্ণ তালা আর দেখবনা।
শুনব না বাড়ি থেকে বের হলেই জোনাকি পোকার ঝি ঝি আওয়াজ।
আমি চলে গেলে
সকালে মাঠে উড়ে যাবেই একদল পাখি।
শিশুরা বিকেলে খেলবেই মাঠে ঘাটে।
কৃষক হেমন্তে ধান কাটা নিয়া ব্যস্ত থাকবেই।
শীতে কুয়াশায় ঢেকে যাবে পথ ঘাট।
সরিষার ফুলে বয়ে যাবে মাঠ।
আঁকাবাঁকা নদী বয়ে যাবেই।
মরা নদী কিংবা আধা শুকনো।
বৈশাখে কিংবা আষাঢ়ে প্লাবিত হবে এ জনপদ।
তখন আমি থাকব না আমার মায়ের দেশে ।
আমার আত্মা ওপার থেকেও তোমাকে মনে পড়বে
হে বাংলাদেশ!
_____রুবেল
হে বাংলাদেশ (২১/০৩/ ২০২৩ইং)