বাইরে অঝরে বৃষ্টি,,
আকাশের যে ঘন মেঘ,,
মেঘ হয়ে বেড়ানো যার কাজ ছিল,,
সেই কিনা নেমে আসলো মাটির ধরায়,,
তাও এমনো ভাবে,,,,একেবারে কাঁদাতে মিশে সে কিনা করল গলাগলি আর ঢলাঢলি,,,


আমার মেঘগুলি কবে এমন করে
মাটিতে নেমে আসবে রোদ,,কবে?
কবে তারাও পাবে সাধ মুক্তির,,,
যে মুক্তি শুধু ওদের নয়,,আমারো, হ্যা হ্য আমারো,
কড়াইয়ে গরম তেলে মাছ হয়ে আছিরে রোদ,,
পানিতে বাস করা মাছ,,,
সেই মাছ পুঁড়ে পুঁড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে,,,
তবু আমার মেঘগুলি বৃষ্টি হলো নারে,,হলনা
হিমালয়ের চূড়ায় আগুন লাগল
কৃষ্ণচূড়ার পাতাও হলো হলুদ,,,
হাতের হলুদ মাখা রঙ হারিয়ে গেল হাতে,,,
তবু আমার মেঘ,,মেঘই রয়ে গেল,,,,,


আচ্ছা রোদ আমি যে আয়নায় মুখদেখি
সে কি আয়না কী এতই বাজে,,
এতই মন্দ ঠিক কপালের মত
যে আমার চেহারাটাও ভালো ভাবে দেখতে
পারে না,,
নাকি আমার মত নারীর কোন আয়না থাকে না,,
আমি যার আশায় বসে থাকি পথের পানে চেয়ে সেই আশা কি এতই বাজে,,
যে পথই চিনতে পারে না,,,কেন পারে না,,,কেন?
নাকি এই জীবনের আশাগুলিই এক পাপ,,


আমি তো নিয়ম করেই
ইন্দ্র দেবের পুজো দেই সেই সকাল হতে,,
হাতের শাঁখার শব্দেই হাতকড়ার শব্দ পাই,,,
ঘরের প্রতিটা কোনে গুয়েতনামার চিহ্ন পাই,,
মেনে নিয়েই পাই,,
বাতাসে ফুসুফুস পুড়ার গন্ধ পাই,,
মেনে নিয়েই পাই।
লাল শাকে নিজের রক্ত মিশিয়ে ব্যঞ্জন রান্না করি আনন্দে,,মেনে নিয়েই করি
চোখের জলে শুকনো চালটাকেও সিদ্ধ করে বানাই ভাত,,তাও মেনে নিয়েই বানাই!
তারপরেও ঘরের ভেতর উড়া মেঘগুলি
বৃষ্টি হবে না,,,
হোট করে আদর করে ভিজিয়ে দিবে না গা,,,
রুম ঝুম শব্দ করে,, মিশে যাবে না মাটিতে,,,
হবে না কাদা জল,হবে না পানকৌড়ির ডানার জল,,
যে জলে দূরন্ত বালিকা হয়ে,,
কদম গাছের নিচে বসেও ভাবব,,
হ্যা ঈশ্বর এতদিন পর হংসিনী জীবনটা
করে দিলে সার্থক,,এত দিন পর
কসাইয়ের চাকুতেও পেলাম মালার সুখ,,,
ইটের ভেতর দেখলাম কত নরম মাটি।
এত দিন পর
যোনীর জন্ম দেহতে নয়,,সে জন্ম নিলো মনে।
এত দিন পর,,,
ঘরের বদ্ধ হাওয়াটাও স্বাধীনতার চিহ্নের
সুখ পেল আপনার আয়ত্ত্বে।