এভাবে কি আর জীবন পার হয়ে যায়,,,!
মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা পোকাও
আলোর স্বাদ পায়,,,
কিন্তু মানুষ!
নড়বড়ে হাড়,অচল দেহ,,,এসব নিয়ে কি
মাথার উপরের আকাশ ছায়ার স্বাদ পায়?
ঘরের মাঝে থাকাই যে ঘর হীন নয়
সে কথাও কি কেউ জানতে পায়।
মানুষ,  জন্ম মাত্রই কি ভাগ্যের স্বাদ পায়,,,?


কি জানি কেউ বলে পায়
বেশ ভালো করেই পায়,,,,
সেও পেত,,,কিন্তু ওই যে তার কপাল,,,
লোকে বলে কপালে নাকি কিছুই লেখা নেই তার,,,
ঘুমন্ত ঈশ্বর,,,ঘুমু ঘুমু চোখে,,
যাচ্ছে তাই লিখে দিয়েছে সাদরে
তাই জন্ম নিয়েই দেখেছে,,মুখের খাবারের উপর
ঈশ্বরের কঠিন অবহেলার চাপ,,,
ফাঁকিবাজি পড়েছে ধরা বাতাসে তার অধিকার লিপির উপর,,
সে পাখির মত শাবক ডানায়ই উড়তে চায়,,
অথচ বাজ পাখির ডানার নিচেই
থাকতে হয়েছে বার বার,,
কে জানি তার স্থান করে দিয়েছে
সেই গর্তের ঠিক এক হাত উপরে,,,
যার এক হাত নিচেই অজস্র নাগ নাগিনীর মেলা।


অথচ,,চারদিকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে,,
বাঁচ মানব, বাঁচ,,,
আকাশে অজস্র মেঘ,যাচ্ছে তাই বজ্রপাত,,,
বাতাসের বুকে শক্ত মাটি নিয়েছে স্থান,,,
অথচ দাবী আসছে ভেসে,,
উড় পাখি, উড়,,,
উড়ে উড়ে যা আপনার ঠিকানায়


কিন্তু সেই ঠিকানা কোথায়,,?
কোথায় বাঁচবে মানুষ?
কোথায় উড়বে পাখি?
কোথায়?
এই নরক জঙ্গলের মাঝে
কোথায় পাবে স্বর্গের ঠিকানা?


তাহলে,,,,
কেন এই মানব জন্ম,,,
কেন এই আহবান,,,
শীতের দেশে গরম হয়ে থাকতে চাওয়ার আহবান
গরমের দেশে শীতল হয়ে থাকার আহবান!
এই আহবান,,, এই জন্ম মানেই কি
ল্যাম্পপোস্টের নিচে ঘুমিয়ে থাকার সাধনা,,,!
নাকি মহাসড়কের উপর শুধু দৌড়,,ম্যারাথন দৌড়।
পদদলিত হবার তাড়না থেকে
বেঁচে থাকার দৌড়,,,
অবহেলিত হবার কপাল থেকে
আপনার হস্তে আপন কলমে
কিছু লেখার দৌড়!


সে দৌড় কে শিখাবে তাকে,,,
ঈশ্বর,,,না তার কপাল?
নাকি,,, নিজেই নিজেকে?