দেয়ালে আঁকা সাপের ছবিটাতে কী দেখছ রূপ,,,?
এর চেয়ে বড্ড বেশি সাপ,,আমার ভেতরে,,,,!
ছুবল নিবে,,,?
দাবী করে তো আমি ছুবল দিতে পারি না,,,
কিন্তু অধিকার নিয়ে যখন আসো
তখন ছুবল খেতে মানা করার অধিকার
আমার কোথায়!!
উদরের দরে যে স্বম্পর্ক সেখানে
আমার মত মানুষের ইচ্ছে অনিচ্ছের মূল্য,,
সকাল বেলার প্রাত ঋতু স্নানের মত,,তাই না রূপ,,,?


এই দেখ তোমার কাছ থেকে
কিছু শিখব বলে,,  
নিজের গায়ে আজ নিজের শাড়িটি পড়ি নি,,
জানি কালো রঙের শাড়ির উপর
সোনালি রঙের ফুল আঁকা
খুবই পছন্দ তোমার,,
একেবারে তোমার চোখের চশমার সবুজ ফ্রেমটার মত,,,
কিন্তু আজ পড়ব ন রুপ,,
আগুন হয়ে জ্বললেও,,
মোমবাতির মাথায় কীভাবে প্রদীপ হয়ে জ্বলতে হয়,,
তা যে আমি আজ শিখব,৷
বিশ্বাস করো,,আমার ভেতরে যে আগুন তা পুজার মন্দিরের জিওন বাতি হতে চায়,,,,
দাউ দাউ করে নয়,,সভ্যতালে,,সমতালে
আড়ালে একটু একটু করে জ্বলতে চায়,,


আমার আগুনটাকে প্রদীপ হওয়া শিখাবে রূপ,,,?
শিখাবে কেমন রূপ হলে,,
আমাকে দেখেও মুখ ফিরিয়ে নিবে না
তোমার ভদ্র পোশাকে,,, লোকালয়ে,,,!
আবদ্ধ ঘরের এই মুক্ত পরিচয়
উন্মুক্ত হবে, উন্মুক্ত করে দিবে আবদ্ধ সমাজে।
এই দেখ,,, আমারো অনেক গুলি শাড়ি,ব্লাউজ
সব সব আটকা পড়ে আছে আলমারিতে,,,।


সেখান থেকে একটু মিথ্যে অভিনয় করে হলেও কি বলবে,,
নিজ হাতে নিজের জন্য শাড়িটা পরিয়ে দিবে
চোখের কোনে কাজল লাগাবে তোমার চোখ দিয়ে,,
তবে,, না,,ঠোটে কোন লিপস্টিক লাগাবে না,,,
আমার ঠোটের রঙ যে আমি নিতে চাই
তোমার ঠোট হতে।


রূপ,,,দয়াকে দয়া করে
এমন কিছু সত্যি কি পাব আমি
তোমার এই লক্ষ্মীন্দরের বাসর গৃহ হতে?
এমন কিছু কি আমি পাবো,,
যা পেয়েও তুমি এই অন্ধকার ঘরটার মাঝে
পাওনি তাকে,,,,এতকাল ধরে।
যাকে এই তো মাত্র কয়দিন আগে
মন্ত্র পড়ে নিয়ে এসেছ ঘরে,,,,
যাকে আমার মতই অন্ধকারের স্বাদ দেওয়া যায়৷  
আমার মতই চিহ্নিত করা যায় মাংসের স্বাদে।
আমার সাথেও তার মতই বলা যায়
নানান চর্ম অভিধানের ভাষা।
পাতাল হতে পাতালে প্রবেশ করে
বলা যায়,,বলানো যায়
এখন শুধু আমি তোমার,,,
এখন্ শুধু তুমি আমার।


কিন্তু আমি যে কখনো বলতে শিখি নি রূপ তা,
আমি যে পাল্লার দরে এক কেজি দু কেজি
মাংসের ঘ্রাণ হতে শিখেছি কেবল৷  
কভু শিখি নি,কেউ শিখাও নি,৷
রাতের এমন পরিচয়ের পরেও,
দিনে যাওয়া যায় হাটে,হাত ধরে ধরে,,  
যাওয়া যায় মাটে,ঘাটে,,  
পথের সাথে পথ এক করে দিয়ে
পায়ে পায়ে যায় চলা,,,অন্তহীন চলা।


আমাকে এমন হাটা, এমন পথ বাইরে নাইবা শিখালে,,
নাইবা দিলে স্বাধ একটি পতাকার,,,
তবে আজ অন্ধকারে শিখাবে রূপ
কেমন করে সিথিতে সিঁদুর পড়তে হয়,,,?
কেমন করে একটু রাগ, একটু অভিমান করতে হয়?
কেমন করে একটু মানা করতে হয়,,করতে হয় নিষেধ!


যে নিষেধে নিষেধে আমি জেনে যাব
সকালে বেলা জলখাবারে কি খাও৷ ?
ভোর বেলা কীভাবে প্রার্থনা করো?
কেমনে অপরাহ্ন যায় তোমার, কী ভেবে ভেবে?
রাতের বেলা বৈধ বিছানায়
কতটুকু তুমি বৈধ
আর কতটুকুই তুমি অবৈধ?


তোমার মাথার চুলে হাত বুলানো,,
তোমার গায়ের শার্টের গন্ধে আতর লাগানো,,
তোমার বুকের পশমে
নখের পিপীলিকা ছেড়ে দেওয়া
এসব আমি জানি,,,,
গত পাঁচটা বছর ধরে,
নীলকন্ঠা হয়ে জানি৷  
তোমার পায়ের চিহ্নে কতটা সমতল হয়ে আছে
আমার ঘরের মেঝে,,,
দুয়ারের পাপোশেও লেগে আছে তোমার জুতার অবয়ব৷  
সিগারেট খেয়ে যে বাকী অংশটুকু ফেলে যাও ঘরে,,,,
তাও আমি জমিয়ে রেখেছি প্রায় ছয় ব্যাগ,,,।
তুমি যে তোয়ালেতে ঘাম মুছে রেখে যাও ,,
তা ঠাকুরের ঘরের মেঝেতে দিয়েছি বিছায়ে,,,


রূপ মনে আছে এক রাত্রে এসে বললে কি,,,
কাঁচা লংকায় টাকি মাছের ভুনা খাবে৷  
জানো ঠিক সেদিনই আমি জানলাম,,,
তুমিও সিদ্ধ করা মাছ খাও,,,
কাঁচা লংকায় শুধু কাঁচা মাছ নয়।
কিন্তু আমার সিদ্ধ করা মাছ খাবার স্বাদ
আদৌ কি পূর্ণ হবে রূপ,,,
হাতের বিশ্রীলেখার চিঠি বুঝতে পারোনি বলেই
সেদিন ফিরিয়ে দিয়েছিলে দেবদূত মদন নারদ,,,
অত:পর জোর করেই বিয়ের পালঙ্গকের স্বাদ
বসানো হল আমার গায়,,,
আমি শাখা পড়তে শিখেছি
কপালে চিহ্ন নিতে শিখেছি,,,
কিন্তু শিখি নি,,
শাখা সিদুরও বিক্রি হয় সভ্যলয়ে।
বিয়ের অপরাধে বিক্রিত আমি হেথায়
স্বামীর পুরুষত্বেরর বলে
আর তুমি চিঠি না পড়া সেই ছেলেটি
আমার রোজ খদ্দের,,,
আমার রোজ ভালবাসা,,,,


রূপ,,, এই ভালবাসা টুকু চিনতে পেরেছ,,,
সমাজের সার্টিফিকেটে?
চিনো আর নাইবা চিনো তবে
তুমি আমার খদ্দেরই থেকো ,,,
আর আমি
ওই যে আপসোসে।