চলে গেলন
নতুন জগতের পুরাতন দিশারী
চলে গেলেন প্রাগৈতিহাসিক নিয়ম মেনে।
যেতে যে হয় সকলকে,,এমনি করে
তাই উনিও গেলেন,,নিয়ম ছড়ায়ে নিয়মের ঘরে।
কিন্তু যাবার আগে
কি দিয়ে গেলেন ভীষ্ম কবি,,
আপনার মুক্ত হস্ত আরো উন্মক্ত করে,,
কি লিখে গেলেন,,মাটির পাতায় পাতায়
কি জানিয়ে গেলেন জলের স্তরে স্তরে
কবি কি শুনিয়ে গেলেন,,পাথরের বুকে বুকে
কি গান গেয়ে গেলেন শিল্পী হয়ে
তলোয়ার আর চাপাতির দুয়ারে দুয়ারে।


তোমরা মানুষ হও,
অন্তত তোমাদের তরে।
ঘর থেকে বের হয়ে
ঘরের পাশেই সামান্য ফরাসি ভুমির পরে,,
দাঁড়ায়ে চিৎকার করে বিপ্লবের সুরে বল,
আমি কেবল মানুষ, কেবল মানুষ
অন্ধ ধুলি বালিতে ঢাকা, গ্রাম কিবা শহরে।
তোমরা নিজের হাতে বানানো
নিজের সত্যরূপ কাঠের চশমা
ফেলে দিয়ে নর্দমায়,,,বার বার বলো,,
তোমরা কেবল তোমাদের পশুত্ব যাও এড়িয়ে
প্রতিবেশি হতে প্রতিবেশির সনে।
তোমরা নিজেকে নিজের মত করে
নিজের দেয়াল হতে বের করে নিয়ে আস
আস সবুজ ঘাসেদের মেলায়
আস,,হাওরের জলের বিশাল সীমারেখায়,,
আস,,,বালিকার হাতে ঝুলা,,বকুল ফুলের মালায়
আস,,রাতের জ্যোৎস্নার সাথে শিয়ালের ভয় ছেড়ে
আস,, তারার সাথে,, অন্ধকারের বুকে পা দিয়ে


যে পায়ের চিহ্নে চিহ্নে
নিজেই মাখিয়ে দাও,,নরম তুলতুলে তুলা
নিজেদের নখের উপর বসিয়ে দাও,,মধুর ভাণ্ডার,,
নিজেদের নজরের উপর
সাজিয়ে নাওবাগানের সমাহার।
নিজের কর্ন কুহুরে বাড়িয়ে  নাও
কোকিলদের পূর্ণ সংসার।


তাহলে সংসারের প্রতি দেয়ালে পেয়ে যাবে
প্রেমই লিখছে চিঠি প্রেমের কাছে নেশাখোর হয়ে।
যে প্রেম পত্রিকাকে বলছে,, কেবল চোখ নয়
একটু বিবেক দিয়ে লিখ বচনে বচনে।
গ্রাম হতে গ্রামের সরু অলিগলিকে জানিয়েছে
চল দুনিয়াকেই করে যাই জান্নাত,,জাহান্নাম সরায়ে।
চল আমরা স্বাধীনতা কে স্বাধীনতা দেই
জীবনের জয়গান শিখায়ে শিখায়ে,,।
আমরা বিশ্বাসকে,,
বিশ্বাস করা,,  না করার অধিকার দেই
অধিকার না করে বন্দি, ভয়ের আলয়ে।
চল আমরা আবার একটু বাঙালি হই
বঙ্গ ভূমির উপর বালুর তরঙ্গ হটায়ে।
চল আমরা আবার আলো হই
অন্ধকার সময়ে।