মৃত্যুর মিছিলে,,,
এগিয়ে থাকতে চাও হ্যা অন্ধ ভুমি?
কমাতে চাও গায়ের উপর বসে থাকা
অযাচিত মেদ,,,
আর তাই,, ইচ্ছে করেই,,যমরাজের লেজে দিচ্ছ পা,,
ইচ্ছে করেই বলছ,,বিষ খেলে মৃত্যু হয় না,,
ইচ্ছে করেই বলছ,,নালায় ডুবে গেলেও
শ্বাস হয় না,,বন্ধ।
ইচ্ছে করেই অগ্নি দুয়ার খোলে দিয়ে বলছ
আগুনে পুড়লেও,,,প্রাণ পুড়ে না অনলে।
ইচ্ছে করেই,,গোবরের গায়ে গোবর বসিয়ে বলছ
গোবরে গোবরে করলে মেলামেশা
গোবরের কোন গন্ধ হয় না,,
আর যদি হয়,,তাহলে মিথ্যে হয়ে যাবে
বিশ্বাসীর অন্ধ বিশ্বাস,,,
মিথ্যে হয়ে যাবে,,,মস্তিস্ক বন্ধকের পদ্ধতি
মিথ্যে হয়ে যাবে,,মিথ্যে গালগল্পের সত্যাচার।


কিন্তু হ্যা ভুমি,,
তুমি তো জানো,,মৃত্যু এখন কতটুকু শিয়র দূরে
তুমি তো জানো,, মৃত্যু এখন কেমন ঘোড়া দৌড় দৌড়ে!
তাহলে তোমার ভুসুকুপা নীরবতা কেন,,,
তোমার  সচল চোখ পাথুরে বন্ধ কেন,,,
ওই সব ধার্মিক রূপি আজ্রাইলদের সম্মুখে,,
তুমি কেন বোবা মীন অসহায়,,,
ওই সব জঘন্য জানোয়ার দের পঙ্গপাল ভীরে।
যারা টুপির ভেতর কবরের নেশায় মত্ত অস্ত্র মনে
যারা চোখের সুরমার পবিত্র আড়ালে,,
আত্মঘাতি বোমায় অপবিত্রতায় মত্ত মানবতা নিধনে,,
তাদের পায়ের নিচে তুমি কি
ইচ্ছে করেই সাধের পিপীলিকা হয়ে আছ,,,
তাদের মুখের সন্ত্রাস্য ভাষণ কী
তোমার ঘরের ফটক দরজা,, আগেই লিখে নিয়েছে
নিজ অন্তরে অন্তরে?
তাদের ত্রাস আর আগ্রাসনের
সুনামী নেশার পান্ডুলিপি কি
তুমি দাও সাজিয়ে,, পাতালে বসে বসে।
তুমি কি বিষের পেটে দুধ ঢালো,,আদরে আবডালে?
তুমি কি জেনেই বাস করছ ইচ্ছের অজানায়,,
তুমি কি আপন হাতেই হিংস্র পশু
করছ লালন আপন গৃহে
শিকারী মনের শিকার বাসনায়?
আর তাই
মৃত্যুরে আপন হাতে ছড়িয়ে দিলে মানচিত্রে।
মৃত্যুরে জীবনের রঙ্গে সাজিয়ে দিলে চিত্তে চিত্তে।
চুমু খেয়ে বৃদ্ধ যদি মরে যায়,, চুমুর উপরে
তাহলে এমন চুমু বাঁচুক,,আরও বাঁচুক।
মধু ভেবে মধু লোভী যুবক যদি
ঢলে পড়ে মধুর আভরণে,,,
তাহলে এমন মধুতে ছেয়ে যাক,, যুবকের বিশ্ব।
সাধের শিকল গলে পরে
নারী যদি হতে চায় আর বন্দি,,আরও মৃত
তাহলে এমন শিকল হোক আরও হৃষ্টপুষ্ট


মৃত্যু বিলাসী জনপদে,,,
অযাচিত মেদের
মৃত্যুই হোক,,মৃত্যুতে সন্তুষ্ট।।
কিন্তু ভয় জাগে ভুমি,, ভয় জাগে
দিন শেষে গোধূলির আবেশে
হবে কি,,,মৃত্যু বিলাস
মৃত্যুতে সতুষ্ট ?
হবে কি মৃত্যু বিলাস
এমন মৃত্যুতে সন্তুষ্ট?